আর্লিং ব্রাউট হালান্ড কী সেটা ভালো করেই জানত ডর্টমুন্ড। সে কারণেই হয়তো ‘ঘরে ফেরার ম্যাচে’ ম্যানচেস্টার সিটির এই গোলমেশিনকে দলটা আটকে রাখতে পেরেছিল ৮৪ মিনিট পর্যন্ত। তবে সে পর্যন্ত আর পারলেন না তাকে আটকে রাখতে। এরপর হালান্ড যা করলেন, তা এককথায় অবিশ্বাস্য!
সেই এক গোলেই বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সর্বনাশ হয়ে গেছে, বিফলে চলে গেছে দলটির আগের ৮৪ মিনিটের প্রতিরোধ। হালান্ডের ‘সাবেক’ দলের বিপক্ষে সিটি জিতে গেছে ২-১ গোলে।
প্রথমার্ধে সমতা ছিল। বিরতির পর গোল খেয়ে বসে ম্যানচেস্টার সিটি। চোখ রাঙাচ্ছিল পরাজয়। সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো পেপ গার্দিওলার দল। শেষ দিকে এসে ৪ মিনিটের মধ্যে করলো দুই গোল।
এ নিয়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেলো সিটি। ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা।
সিটির মাঠে ডর্টমুন্ড নিজেরাও অবশ্য প্রথমার্ধে গোল পায়নি। আর বল দখলে এগিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি সিটিও।
বিরতির পর কর্নারের বক্সে বল পেয়ে যান মার্কো রয়েস। তার ক্রসে কাছ থেকে হেডে বল জালে পাঠান ইংলিশ মিডফিল্ডার বেলিংহাম।
পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠে সিটি। কিন্তু বারবার তারা আটকে যাচ্ছিল ডর্টমুন্ডের রক্ষণে। অবশেষে ৪ মিনিটের ঝড়ে হাসি ফোটে স্বাগতিকদের মুখে।
৮০ মিনিটে কেভিন ডে ব্রুইনের পাসে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে গোল করেন জন স্টোনস। ৮৪ মিনিটে হালান্ডের বিস্ময় গোল।
হালান্ড অবশ্য একা ছিলেন না, তাকে পাহারায় রেখেছিলেন তিন ডর্টমুন্ড ডিফেন্ডার। তাদের মাঝে থেকেই চকিতে পা তুলে দেন মাথার কাছাকাছি উচ্চতায়, পা ছুঁইয়ে বলটা পাঠান ডর্টমুন্ডের জালে। সেই এক গোলেই সিটি এগিয়ে গেছে ম্যাচে। ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে শেষে।