এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ১১৪ রানের বড় জয় পেয়েছে টাইগ্রেসরা। সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের মেয়েরা।
সেমিফাইনালে উঠতে হলে বাংলাদেশকে জিততেই হবে। এমন এক সমীকরণ সামনে নিয়ে মালয়েশিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রানে শেষ হয় মালয়েশিয়ার ইনিংস।
বাংলাদেশের দেওয়া বড় লক্ষ্যমাত্রা সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে মালয়েশিয়াকে। ব্যাটারদের কাছ থেকে তেমন কোনো সুবিধা পায়নি দলটি। জাহানারা আলমের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারি থেকেই পতন শুরু মালয়েশিয়ার।
এরপর উইকেট হারানোর প্রতিযোগিতা তো ছিল। পাশাপাশি রান বের করার কোনো সুযোগ পায়নি দলটির ব্যাটাররা। দলীয় ২৬, ৪৩, ৪৫, ৫৫ ও ৫৬ রানে পরের উইকেটগুলো হারায় মালয়েশিয়া। এতে দলের রান ৫৬ হতেই ৬ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে দলটি।
মালয়েশিয়ার হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ২০ (২৩) রান করেন এলসা হান্টার।
শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭৭ রানে শেষ হয় মালয়েশিয়ার ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে নাহিদা আক্তার সর্বোচ্চ ২ উইকেট সংগ্রহ করেন। বাকি বোলারদের মধ্যে রুমানা আহমেদ বাদে বাকি সবাই একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করে বাংলাদেশ দল। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত জ্যোতিদের পক্ষে যায়। রান রেটের হিসাব-নিকাশ রাখাও যেখানে জরুরি, সেখানে বড় রান করার ভাবনা ছিল বাংলাদেশের।
ওপেনার দিলারা আক্তার ও মুর্শিদা খাতুনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬৫ রান। অষ্টম ওভার খেলা যখন চলছে তখন ২০ বলে ৩০ রান করে বিদায় নেন দিলারা। মুর্শিদা ছুটছিলেন বড় কিছুর পানে। এবার তিনে নামা জ্যোতির সাথে মুর্শিদার জুটি গড়ে ওঠে।
ফিফটির দেখাও পেয়ে যান মুর্শিদা। এক সময় শত রানের কোটা পূরণ করে নিবেন তিনি, এমনই মনে হচ্ছিল। তবে এলসা হান্টারের ডেলিভারিতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৫৯ বলে ৮০ রান করে ফিরতে হয় এই ওপেনারকে। এতে মুর্শিদা ও জ্যোতির ৮৯ (৫৬) রানের জুটি ভেঙে যায়।
জ্যোতি ছিলেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। বাংলাদেশি অধিনায়কের ব্যাটেও আসে ফিফটি। এই ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৩৭ বলে ৬২ রান করে। অন্যপ্রান্তে রুমানা আহমেদ ৪ বলে ৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
এম এইচ//