বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ‘স্বপ্নের পুরুষ’ ছিলেন সুকেশ চন্দ্রশেখর! ২০০ কোটি টাকার তছরুপ মামলায় তদন্তে নেমে এমন কথাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তারা জেনেছেন, ‘কনম্যান’ সুকেশকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন বি-টাউনের এই মোহময়ী নায়িকা।
আর্থিক তছরুপ মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছেন জ্যাকলিন। গত বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিল্লি পুলিশের আর্থিক দমন শাখায় তদন্তরকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন বলি তারকা। প্রায় আট ঘণ্টা ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দিল্লি পুলিশের আর্থিক দমন শাখার স্পেশাল কমিশনার রবীন্দ্র যাদব ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, প্রচুর ধনদৌলত থাকায় বলিউডের অভিনেত্রীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেন সুকেশ। এই ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন জ্যাকলিনও। সুকেশের কথায় নায়িকা এতটাই প্রভাবিত হন যে, তাকে বিশ্বাসও করতে শুরু করেন। সেই সূত্রেই সুকেশকে ‘কাছের মানুষ’ ভাবেন জ্যাকলিন। এমনকি তাকে বিয়ে করার কথাও ভাবেন।
রবীন্দ্রে আরও জানান, জ্যাকলিন আরও বিপাকে পড়েছেন। কারণ, সুকেশের অপরাধের কথা জেনেও তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি তিনি।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে বেঁচে গিয়েছেন বলিপাড়ার আর এক অভিনেত্রী নোরা ফতেহি। রহস্যের গন্ধ পাওয়া মাত্রই সুকেশের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করেন অভিনেত্রী। সুকেশের সঙ্গে নোরার কখনও সামনাসামনি দেখাও হয়নি। হোয়াটসঅ্যাপে দু’বার চন্দ্রশেখরে সঙ্গে কথা হয়েছিল নোরার। সম্প্রতি, নোরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে দিল্লি পুলিশের আর্থিক দমন শাখা।
জ্যাকলিনের সঙ্গে তার যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তা আগে জানিয়েছিলেন সুকেশের আইনজীবী। পরে সুকেশও এই কথা জনিয়েছেন। তিনি দাবি করেছিলেন, প্রেমজীবনের সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও সম্পর্ক নেই।
অনন্যা চৈতী
