দেশের বাজারে ডিমের আবারও মূল্যবৃদ্ধি স্বাভাবিক। আশা করি এটা শিগগিরই কমে যাবে। বললেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
আজ রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘প্রানিসম্পদ খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে চতুর্থ শিল্পবিল্পব প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দুধ, মাছ, মাংসের উৎপাদন বেড়েছে। তবে এসব খাদ্যপণ্যে আমরা এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি। দেশের বাজারে ডিমের আবারও মূল্যবৃদ্ধি এটা স্বাভাবিক। আশা করি এটা শিগগিরই কমে যাবে।
কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আমরা একটু থমকে আছি। ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরটা বড় হলে আমাদের কর্মসংস্থান বাড়বে। তখন ডেইরি, পোল্ট্রির চাহিদা আরও বাড়বে। মানুষ অনেক সচেতন।
তিনি বলেন, আমাদের ডিমের উৎপাদন বেড়েছে। দুধের উৎপাদন ২০-৩০ লাখ টন ছিল, সেটা ১ কোটি ৩০ লাখ টন হয়েছে। মাংসের উৎপাদন এখন ৯০ লাখ টন। আমি মনে করি মাছ-মাংসে আমাদের যে প্রযুক্তি রয়েছে, অবকাঠামো রয়েছে, সেগুলো যদি আমরা বাড়াতে পারি তাহলে মাংসে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা কিন্তু দুধে মাংসে কোথাও স্বয়ংসম্পূর্ণ না।
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গ্রামে এখনো মানুষ নিজে না খেয়ে তার উৎপাদিত ডিম, দুধ বাজারে বিক্রি করছে। গাভীর দুধ নিজের ছেলে-মেয়ের মুখে তুলে দেয় না। এটা খুবই দুঃখকজনক। মানুষের আয় এত কম। আমরা দাবি করছি খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ, খাদ্যেও আমরা ওইরকম স্বয়ংসম্পূর্ণ না। তবে আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে আশ্বিন কার্তিক মাস আসলে খাদ্যের সংকট দেখা দিত। যে দারিদ্র্য আমরা দেখেছি, সেটি নাই। দুইদিন, তিনদিন খেতে পারে না, সেই পরিস্থিতি নাই।
বিপ্লব আহসান