ইরানে পুলিশ হেফাজতে থাকা মাহসা আমিনির (২২) নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটির কুর্দি অঞ্চলে বিক্ষোভ হয়েছে। এতে নিহত হন পাঁচজন। জানিয়েছে কুর্দি অধিকার গোষ্ঠী।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ইরানের কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দেয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
কুর্দি অধিকার গোষ্ঠীর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভ চলাকালে গুলি চালায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এতে নিহত হয় পাঁচজন।
হেনগাও মানবাধিকার সংস্থা এক টুইট বার্তায় জানায়, আমিনির নিজ শহর সাকেজে কুর্দিশ শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালালে দুইজন নিহত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দিভান্ডারেহ শহরে আরও দুজন নিহত হয়েছে এবং কুর্দি অঞ্চলের দেহগোলানে একজন নিহত হয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু দুইজন আহত যুবককে মৃত দেখিয়ে "সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত্যুর কিছু দাবি" প্রত্যাখ্যান করেছে প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার মাশা আমিনিকে ইরানের নীতি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ইরানের ড্রেস কোড বা পোশাকবিধি অনুসারে মেয়েদের মাথা ঢাকা বা হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। মাশা তা পরেননি। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ হেফাজতে মাশার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
পুলিশের দাবি, মাশার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু তার পরিবার জানিয়েছে, মাশা অসুস্থ ছিলেন না। তার স্বাস্থ্য ঠিক ছিল। গ্রেপ্তার হওয়ার সময়ও তার শরীর একদম ঠিক ছিল।
পুলিশ ক্লোজ সার্কিট টিভির ফুটেজ প্রকাশ করে দাবি করেছে, মাশা থানায় ছিলেন, সেখানেই তার শরীর খারাপ হয়।