তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর কাকরাইলে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুবায়েরপন্থিরা (শুরায়ে নেজামী)।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কাকরাইল মসজিদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাবলিগ জামাতের জুবায়েরপন্থি আলেম উত্তরা জামিয়াতুল মানহালের প্রিন্সিপাল কেফায়েতুল্লাহ আজহারী।
তিনি বলেন, কাকরাইল মারকাজ ও টঙ্গী ইজতেমার মাঠসহ তাবলিগের সব কার্যক্রম শুরায়ে নেজামীর অধীনে পরিচালিত হওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এসব দাবি বাস্তবায়নে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাকরাইল ও তার আশপাশের এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করা হবে।
কেফায়েতুল্লাহ আজহারী বলেন, আক্রমণকারী সন্ত্রাসী সাদপন্থিদের সব কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বরের হামলার সঙ্গে জড়িত সব আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বরে সাদপন্থিরা একই কায়দায় একতরফা আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ৫ হাজারের মতো তাবলিগ জামাতের সাথী ও ছাত্র-শিক্ষকদের রক্তাক্ত করেন। এতেই প্রমাণিত হয় যে, সাদপন্থিরা তাবলিগি নয়, বরং তারা সন্ত্রাসী, চরমপন্থি বাহিনী। যারা গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। তাদের মূলহোতাসহ অনেকের নামে মামলা হয়েছে, কিন্তু আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
তাবলিগের জুবায়েরপন্থি এ আলেম বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে আরও বলতে হয় যে, ১৭ তারিখের কাল রাতে টঙ্গীর মাঠের দায়িত্বে থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ও তাদের দোসররা যোগসাজশ করে সাদপন্থিদের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি নীলনকশা করেছিল। তাদের এ নীলনকশা বাস্তবায়নে পার্শ্ববর্তী একটি দেশ ও ইসরায়েলের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে।’
জেডএস/