আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবীর সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের শোবিজ তথা ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার শিল্পী, নির্মাতা, কলাকুশলীরা। রাষ্ট্র কিংবা সরকারের কাছে এমন বেশ কিছু চাওয়া নিয়ে শোকের মাসের প্রথম দিনে (১ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় জড়ো হন তারা। ‘ভয়হীন-ন্যায্য-মানবিক মর্যাদার বাংলাদেশ চাই’, ‘সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করো’, ‘হত্যা-সহিংসতা-গণগ্রেফতার-হয়রানি বন্ধ কর’ স্লোগান দিতে থাকেন শিল্পীরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
বৃহত্তর চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র, থিয়েটার, গণমাধ্যমসহ দৃশ্যমাধ্যমের নানা শাখার কর্মীরা ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’ ব্যানারে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে হত্যা-সহিংসতা-গণগ্রেপ্তার-হয়রানির প্রতিবাদ করা হয়েছে। এ সময় মামুনুর রশিদ, আকরাম খান, নূরুল আলম আতিক, আজাদ আবুল কালাম, হাসান, আজমেরী হক বাঁধন, পিপলু আর খান, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মুনেম ওয়াসিফ, ঋতু সাত্তার, তাসলিমা আকতার লিমা, তানিম নূর, সৈয়দ আহমেদ শাওকি, ওয়াহিদ তারেক, রেদওয়ান রনি, আমিরুল রাজিব, নুসরাত ইমরোজ তিশা, তানজিম ওয়াহাব, জাহিন ফারুক আমিন, তানভীর আহসান, ইয়াছির আল হক, শঙ্খ দাশগুপ্ত, সাবিলা নূর, নাসিফ আমিন, তাসনিয়া ফারিন, হুমাইরা বিলকিস, শিবু কুমার শীলসগ অনেকে সংহতি প্রকাশ করে।
বক্তারা বলেন, সব হত্যার হিসাব ও বিচার করা, গুলি ও সহিংসতা বন্ধ, গণ-গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ, আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে দাঁড়াতে এখানে এসেছি। অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও হত্যা-সহিংসতা-গণগ্রেপ্তার-হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
যেই ন্যায্যতা, সমতা ও মানবিক মর্যাদার অঙ্গীকার নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ঘটেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, সেই বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার আমাদের সাংবিধানিক অধিকার।
এসআই/