অপরাধ

যে মামলায় গ্রেপ্তার হলেন টুকু,পলক ও ছাত্রলীগ নেতা সৈকত

শামসুল হক টুকু, জুনাইদ আহমেদ পলক, তানভীর হাসান সৈকতকে ছবি: বায়ান্ন টিভি

রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর পল্টনে এক রিকশাচালককে হত্যা মামলায়  তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ।

বুধবার (১৪ আগস্ট) দিনগত রাতে পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেন্টু মিয়া জানান, গত ১৯ জুলাই পল্টনে এক রিকশাচালককে হত্যা করা হয়। ওই মামলায় শামসুল হক টুকু, জুনাইদ আহমেদ পলক ও তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলাটির বাদী ফাতেমা খাতুন নামে একজন নারী বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ৬ আগস্ট বিকেলে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দিল্লি যাওয়ার সময় বাংলাদেশ সরকারের ডাক এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে আটকে দেয়া হয়েছিল।১৩ আগস্ট জুনাইদ আহমেদ পলক ও তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকার ব্যাংক হিসাব জব্দ করে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

এদিকে গ্রেপ্তার শামসুল হক টুকু দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি সাবেক বিদ্যুৎ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও পরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পেশায় আইনজীবী শামসুল হক টুকু রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের বিরুদ্ধে। 

উল্লেখ্য,৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর মন্ত্রী, এমপি এবং আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী পালানোর চেষ্টা করেন। কেউ আবার আত্মগোপনে চলে যান।

জেডএস/