বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে যুগপৎভাবে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (১৪ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল ।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন বেদান্ত প্যাটেল। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন এবং দেশটির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন তাকে।
উত্তরে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “এই ইস্যুতে আমি এখন বিস্তারিত কিংবা ব্যক্তিগত কূটনৈতিক আলোচনায় যাব না, সেই সুযোগ নেই। আমরা চাই, বাংলাদেশে যাবতীয় সহিংসতার অবসান এবং জবাবদিহিতা ও আইনের শাসন নিশ্চিত হোক। আমরা আমাদের ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। বাংলাদেশ ইস্যুতে আমাদের কথা হচ্ছে। এছাড়া ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও আমরা কথা বলছি।”
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থী-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের মুখে টিকতে না পেরে গেলো ৫ জুলাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা, আশ্রয় নেন ভারতে। বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন তিনি।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর ইতোমধ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে; বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
ভারপ্রাপ্ত সরকারের প্রধান হওয়ার পর একাধিকবার দেশের জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ড. মুহম্মদ ইউনূস। ব্রিফিংয়ে মুহম্মদ ইউনূসের এ বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বেদান্ত বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান সরকার নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মনযোগ দিয়েছে এবং আমরা একে স্বাগত জানাচ্ছি।”
এসি//