জাতীয়

কোটা আন্দোলন

আইনের আওতায় এনে খুনিদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে: তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা

বায়ান্ন প্রতিবেদন

নিহত সাজিদের জানাজায় তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ হাসান ছবি: সংগৃহীত

যারা সাধারণ ছাত্র ও জনসাধারণকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। তাদের বিচার অবশ্যই আমরা করব। তাদের বিচার করার জন্যই আমরা নতুন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। খুনিদের বিচার অবশ্যই করা হবে বাংলার মাটিতে। বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ হাসান।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট)  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের বিলকুকডি গ্রামের সাজিদের জানাজায় উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ বলেন, আজ সাজিদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। সাজিদদের এই আত্মত্যাগ বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিন ভুলবে না। তারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। সাজিদসহ যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন তাদের খুনিদের এই বাংলার মাটিতেই বিচার করা হবে। আমিও নির্যাতিত হয়েছি। আজ আমার মায়ের বুক খালি হয়নি, সাজিদের মায়ের বুক খালি হয়েছে। আমরা যারা আন্দোলন করেছি এবং যারা এখনো আছি আমরা প্রত্যেকেই সাজিদ। সাজিদের পরিবার আমার পরিবার। তাই এই পরিবারের দায়িত্ব আমি নিলাম।

তিনি বলেন, প্রতিদিন আমাদের শহীদদের তালিকা বাড়ছে। অথচ আমরা এখনো দেখছি, যারা আওয়ামী লীগ, স্বৈরাচারী তাদের দোসররা এখনো কিন্তু ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। শোক দিবসের নামে এই পরাজিত শক্তি সেই আওয়ামী শক্তিকে যদি কেউ পুনর্বাসন করার চেষ্টা করে তাহলে বাংলার ছাত্রসমাজ তাদের প্রতিহত করবে।

নাহিদ আরও বলেন, শহীদ সাজিদের মা আমার মা, সাজিদের বাবা আমার বাবা এবং আমাদের সবার মা ও একজন বীরের মা। সাজিদের পরিবারের দায়িত্ব আমার এবং সরকারের। তাই তাদের পারিবারিক ও আর্থিক সব কিছুই নিশ্চয়তা দেয়া হবে। আর এই সব ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার দ্রুত করা করে। ইতোমধ্যেই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। সেখানে সব আসামিসহ শেখ হাসিনাকেও দায়ী করা হয়েছে। এই ছাত্র সমাজকে কারা গুলি করেছে, কাদের নির্দেশে গুলি করা হয়েছে তদন্ত করে তাদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হবে।

উল্লেখ্য, গেলো ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের গুলিতে আহত হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী একরামুল হক সাজিদ। পরে বুধবার (১৪ আগস্ট) বেলা সোয়া দুইটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীর শোক প্রকাশ করেছে।

এসি//