আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

সড়কে মশাল জ্বালিয়ে ৫ ফুটবলারকে বরণ

সড়কে মশাল জ্বালিয়ে ৫ ফুটবলারকে বরণ

তিন কিলোমিটার সড়কে মশাল জ্বালিয়ে সাফজয়ী পাঁচ ফুটবল কন্যাকে বরণ করে নিয়েছেন রাঙ্গামাটিবাসী।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মগাছড়ি এলাকায় মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা, রূপনা চাকমা ও যমজ দুই বোন আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনীর গাড়ি পৌঁছালে তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীরসেন তঞ্চগ্যা, শশী মোহন চাকমা, শান্তি মনি চাকমাসহ দু’শতাধিক গ্রামবাসী।

স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে বলেন, ঋতু তাদের গ্রামের মেয়ে। সে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফুটবল খেলে দেশের সুনাম বয়ে এনেছে। গ্রামবাসি ঋতুর জন্য গর্বিত। তাই ঋতুপর্ণা চাকমাসহ বাকিদের বরণ করে নিতে তারা এ আয়োজন করেছেন।

ঋতুপর্ণা চাকমা বলেন, তারা চিন্তাও করেননি গ্রামবাসী তাদের এভাবে বরণ করে নিবে। এজন্য ঋতুরা কৃতজ্ঞ।

মনিকা চাকমা বলেন, শিক্ষকদের জন্য তারা এতদূর আসতে পেরেছেন। তাই তাদের কাছে মনিকা চাকমারা ঋণী। গ্রামবাসীদের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষকরাও তাদের ফুল ও মশাল জ্বালিয়ে বরণ করে নিয়েছেন,যা সারা জীবন মনে থাকবে।

আনাই মগিনী বলেন, বাড়ি খাগড়াছড়ি হলেও তার অনেক বেশি সময় কেটেছে এ ঘাগড়া স্কুলে। এখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাও শিখেছেন। ছুটি পেলে বাড়িতে দেখা করার পর এখানে চলে আসেন, স্যারদের সঙ্গে সময় কাটান।

ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শশী মোহন চাকমা বলেন, প্রাইমারি শেষ হওয়ার পর তাদের এ স্কুলে ভর্তি করানো হয়। তাদের হোস্টেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত খেলাধুলার মাধ্যমে আজ তারা দেশের রত্ন হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের স্কুলে সংবর্ধনা দেয়া হবে। একই সঙ্গে বিকেলে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের উদ্যোগে চিং হ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে সংবর্ধিত হবেন তারা।

উল্লেখ্য, পার্বত্য জেলার পাঁচ ফুটবলারের মধ্যে ঋতুপর্ণা ও রূপনার বাড়ি রাঙ্গামাটিতে আর মনিকা, আনাই ও আনুচিংয়ের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায়। তারা সবাই রাঙ্গামাটির ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সড়কে | মশাল | জ্বালিয়ে | ৫ | ফুটবলারকে | বরণ