স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের ১৩ জেলা। এসব জেলার বিভিন্ন জায়গায় রেল লাইন তলিয়ে যাওয়ায় ৩১টি ট্রেনের যাত্রা পুরোপুরি ও আংশিক বাতিল করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্টের (পূর্ব) চট্টগ্রাম কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মো. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ঢাকা- চট্রগ্রামের মূল লাইন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায়। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে সিলেটসহ সব লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। অনেক জায়গায় রেললাইনে পানি উঠে গেছে। ফলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, অতিবৃষ্টির কারণে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন সেকশনে নিচের মাটি সরে গিয়ে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অতিবৃষ্টির কারণে ফাজিলপুর-কালিদহ সেকশনে লাইনের নিচ থেকে মাটি, পাথর ও স্লিপার সরে গিয়ে রেললাইন বেঁকে গেছে। চট্টগ্রাম-নাজিরহাট-দোহাজারী-কক্সবাজার সেকশনেও একই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
চট্রগ্রাম-সিলেট রুটের শায়েস্তাগঞ্জ-লস্করপুর সেকশনে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও খোয়াই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রেল সেতুর গার্ডার সমান পানি হওয়ায় ঝুঁকির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকা হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে। এতে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
শ্যামলী এন আর ট্রাভেলের জেনারেল ম্যানেজার জীবন চক্রবর্তী বলেন, বন্যার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম বাস চলাচল বন্ধ হয়নি। বাস সীমিত আকারে চলছে। তবে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি রুটে ঢাকা থেকে বাস চলাচল বন্ধ আছে।
প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত বন্যায় ৮ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
আই/এ