আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ৭ জন জড়িত

এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ৭ জন জড়িত

কুড়িগ্রামে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় পলাতকসহ ৭ জন জড়িত। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বোর্ড কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত সম্পন্ন করেছে। আগামী সপ্তাহের রবিবার অথবা সোমবার লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। একজন ভারতে পালিয়ে গেছে, ৬ জনকে ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। 

২০ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ইংরেজি প্রথম পত্র ও ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠে। এরপর ওই কেন্দ্রের সচিব লুৎফর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা স্বীকার করেন তিনি। পরে তার কক্ষ তল্লাশি করে গণিত (আবশ্যিক), উচ্চতর গণিত, কৃষিশিক্ষা, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। 

পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, কৃষি বিজ্ঞান ও রসায়ন পরীক্ষা স্থগিত করেন। ২২ সেপ্টেম্বর স্থগিত হওয়া ৪টি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে জীব বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) ও উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) এর প্রশ্নপত্র বাতিল করা হয়।

গ্রেপ্তার ৬ জন হলেন- কুড়িগ্রামের নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক জোবাইর রহমান,  ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান, কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুল ইসলাম, বাংলা শিক্ষক সোহেল চৌধুরী ও পিয়ন সুজন মিয়া।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ট্যাগ অফিসার ও কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী বাদী হয়ে গ্রেপ্তার ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

আসাদ ভূঁইয়া

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন এসএসসি | পরীক্ষার | প্রশ্নপত্র | ফাঁসের | ঘটনায় | ৭ | জন | জড়িত