নাসিম শাহ এর ডেলিভারি শরিফুল ইসলাম বড় শট খেলার উদ্দেশ্যে ব্যাট চালালেন। ব্যাট চালিয়েই বুঝলেন আউট হতে যাচ্ছেন। আব্দুল্লাহ শফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২২ (১৪) রানে ফিরতে হলো শরিফুলকে। আর এতেই শেষ হলো বাংলাদেশের ইনিংস, ৫৬৫ রানে। লিড দাঁড়িয়েছে ১১৭ রানের।
চতুর্থ দিনের বাকি সময়টুকু খেলতে পাকিস্তান ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও সাইম আইয়ুব নেমেছেন ব্যাটিংয়ে।
বাংলাদেশের ইনিংসের দিকে তাকালে বেশ সাজানো-গোছানো মনে হবে। কেবলমাত্র কয়েকজন ব্যাটারের থেকে আশানুরূপ কিছু পাওয়া যায়নি। বাকিরা নিজেদের বেশ দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন রাওয়ালপিন্ডির পিচে।
যেখানে তৃতীয় দিনে সাদমান ইসলামের খেলা নিয়ে আলাদা করে বলতে হয়। চমৎকারভাবে খেলে সেঞ্চুরি পূরণের দিকেই ছিলেন সাদমান। তবে দুঃখজনকভাবে মোহাম্মদ আলীর ডেলিভারিতে বোল্ড হলেন ৯৩ রান করে।
মুমিনুল হক ও লিটন দাসের ব্যাটিংয়ে স্বস্তি খুঁজেছে বাংলাদেশ। দুজনেই ফিরেছেন পঞ্চাশের ঘরে। মুমিনুল ৫০ রানে, লিটন ফিরলেন ৫৬ রানে। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে তখন জুটি খুঁজে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের সঙ্গে আলাদাভাবে চেনা যাচ্ছিল মিরাজকে। ছন্দ নিয়ে ব্যাট করছিলেন উভয় ব্যাটার।
মুশফিক তুলে নিলেন সেঞ্চুরি, সেই সেঞ্চুরি দেড়’শো ছাড়িয়ে ছুটছিল। আর ওদিকে মিরাজের রান পঞ্চাশ ছাড়িয়ে ছুটছে। মুশফিক নিজের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফিফথ স্টাম্পের বলে ব্যাট চালিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। বোলার ছিলেন মোহাম্মদ আলী।
মিরাজ ফিরেছেন ৭৭ রানে। শরিফুল ইসলাম দ্রুত কিছু রান তুলে দিলেন দলের পক্ষে। শেষপর্যন্ত বাংলাদেশ দল অলআউট হলো ৫৬৫ রানে।
এম এইচ//