হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর এলাকার ৪৭ গ্রামবাসির মধ্যে প্রায় দু'দিন ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। ইট পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র আঘাতে পুলিশসহ অন্তত ৪০০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের বাহুবল ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মশিউর রহমান বায়ান্ন টিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়রা জানান , গতকাল বাহুবল উপজেলার লামাতাশি গ্রামের যুবক আলফু মিয়ার সাথে পাশ্ববর্তী বানিয়াগাও গ্রামের জহুরুল মিয়ার সাথে টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে প্রথমে দুই গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হলে লামাতাশি গ্রামের পক্ষে পার্শ্ববর্তী ৮ গ্রাম ও বানিয়াগাও গ্রামের পক্ষে এর পার্শ্ববর্তী ৫ গ্রামের মানুষ সংঘর্ষে জড়ায়।এতে মিরপুর বাজার রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।
পরে আশেপাশের আরও কয়েক গ্রামের মানুষ এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রাত ১২টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মিলে পরিস্থিতি শান্ত করেন। আজ সকাল ৮ টায় পুনরায় সংঘর্ষ শুরু হয়ে বেলা ৩টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষের সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর ঝাপিয়ে পড়ে এতে সংঘর্ষ ভয়াবহ অবস্থায় রূপ নেয়। উভয়পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে আহত হয় দুই শতাধিক লোকজন।
খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে বেগ পেতে হয়।
বাহুবল থানার ওসি জানান, ইট পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র আঘাতে অন্তত ৪০০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আই/এ