কুমিল্লায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বুধবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কুমিল্লায় বন্যায় মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাত পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় বন্যার পানিতে ডুবে দুই শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান একজন।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাতের মধ্যে জেলার বুড়িচং, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ ও লাকসাম উপজেলায় এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। গেলো রোববার (২৫ আগস্ট) জেলার তিতাস ও বুড়িচং উপজেলায় মারা যান আরও তিনজন। এছাড়া বন্যার শুরু থেকে পৃথক পৃথক সময়ে মারা যান আরও ছয়জন।
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুর থেকে রাতের মধ্যে জেলার বুড়িচং, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ ও লাকসাম উপজেলায় এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
এর আগের দিন রোববার (২৫ আগস্ট) জেলার তিতাস ও বুড়িচং উপজেলায় মারা যান আরও তিনজন। বন্যার শুরু থেকে পৃথক পৃথক সময়ে মারা যান আরও ছয়জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে সোমবার দুপুরে বুড়িচং উপজেলা সদর ও পশ্চিমসিংহ এলাকায় পানিতে ডুবে হাসিবুল (১০) ও ইব্রাহিম (৪) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহিদা আক্তার উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে নাঙ্গলকোট উপজেলার গোরকমুড়া এলাকায় সেরাজুল এবং রাতে মনোহরগঞ্জের মির্জাপুর এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে আরও দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকী ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আওশপাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মুনিরুল হকের স্ত্রী মাকসুদা বেগম (৫৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেন লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজিয়া বিনতে আলম।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, গেলো ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।
এসি//