ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরজি করকাণ্ডে বিচারের দাবিতে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে শ্যামবাজারের জমায়েতে অংশ নিয়ে তোপের মুখে পড়েন টালিউডের জনপ্রিয়অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। অন্যদিকে, দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরে মানুষের ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি করের শুনানির কথা মাথায় রেখে বুধবার ফের রাত দখলের আহ্বান জানানো হয়। সন্ধ্যা থেকেই শহরের রাস্তায় ভিড় বাড়তে শুরু করে। জমায়েতে অংশ নেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিনোদন জগতের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। রাত ৯টায় শুরু হয় ঘণ্টাব্যাপী আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ। এরপর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রতিবাদের ভিড় ক্রমশ বাড়তে শুরু করে।
উত্তর কলকাতায় রাত ৯টার দিকে কলেজ স্কোয়ারে জমায়েতে ক্রমশ ভিড় বাড়তে শুরু করে। আস্তে আস্তে সেই জমায়েত মানবশৃঙ্খলে রূপান্তরিত হয়। প্রত্যেকের হাতে জ্বলে উঠল মোমবাতি। কণ্ঠে ধ্বনি, ‘তোমার স্বর আমার স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর।’
এই ভিড়ে মিশে বিচার চেয়েছেন টালিউডের অনেকেই। উপস্থিত ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, তথাগত মুখোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, সোহম মজুমদার, সোলাঙ্কি রায়, ঋষভ বসু, রাতাশ্রী দত্তেরা। অন্যদিকে, যাদবপুরের জমায়েতে উপস্থিত ছিলেন মিমি চক্রবর্তী। মোমবাতি জ্বেলে তিনিও প্রতিবাদ জানান।
এদিন টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সুবিচারের দাবি করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন অভিনেত্রী। তার উদ্দেশ্যে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। চারপাশ থেকে উলুধ্বনি এবং শঙ্খ বাজিয়ে ব্যঙ্গ করা হয় অভিনেত্রীকে। কিছুক্ষণ পর গাড়িতে উঠে শ্যামবাজার ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন ঋতুপর্ণা। এর আগে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাতে শঙ্খ বাজাতে গিয়ে চরম কটাক্ষের শিকার হন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
সেই ঘটনার পর আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াতে এসেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু তাকে সেখানে গ্রহণ করলো না সাধারণ মানুষ। উল্টো জনরোষের মুখে পড়ে রীতিমতো পালিয়ে যান তিনি।
গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যেতে চাইলেও নিস্তার পাননি। ঋতুপর্ণার গাড়িতে রীতিমতো ধাক্কা দেন আন্দোলনকারীরা। এসময় তারা চিৎকার করে বলেন, ‘ঋতুপর্ণা পালিয়ে গেছে।’
এসআই/