সোমবার (৩ অক্টোবর) প্রয়াত সাংবাদিক তোয়াব খানকে (৮৭) রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। বার্ধক্যজনিত জটিলতায় শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বরেণ্য এ সাংবাদিক।
তোয়াব খানের ছোট ভাই ওবায়দুল কবির জানান, তোয়াব খানের মরদেহ সোমবার সকাল ১০টায় তেজগাঁওয়ে নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলা কার্যালয়ে নেওয়ার পর সেখানে প্রথম জানাজা হবে। এরপর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কফিন রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। তোয়াব খানের মরদেহ সোমবার বেলা ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবে রাখা হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মরদেহ নেওয়া হবে গুলশানের নিজ বাসভবনে।
বাদ আছর গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে সর্বজনশ্রদ্ধেয় এ সাংবাদিককে দাফন করা হবে বনানী কবরস্থানে।
১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তোয়াব খান। সাংবাদিক হিসেবে সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন রয়েছে তার।
২০১৬ সালে একুশে পদক পান তোয়াব খান। একই বছর তাকে সম্মানিত ফেলো নির্বাচন করে বাংলা একাডেমি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন তোয়াব খান। পরে রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এবং প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রেস সচিবের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
তোয়াব খান প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে গত বছর পর্যন্ত দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন।
এ বছর নতুন আঙ্গিকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলা পত্রিকার সম্পাদক করা হয়েছিল তোয়াব খানকে। একইসঙ্গে একই মালিকানার প্রতিষ্ঠান অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজবাংলা টুয়েন্টি ফোর ডটকমেরও সম্পাদক করা হয় তাঁকে।
অনন্যা চৈতী