প্রথমে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে জুলাই মাসে সংগঠিত গণহত্যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। জুলাই গণহত্যার রক্তের দাগ শুকানোর আগেই বিচারের উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে চিফ প্রসিকিউটর নিয়োগ দিয়ে প্রসিকিউশন টিম গঠন করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিচার স্বচ্ছতার জন্য সব করবে সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানান, স্বচ্ছতার স্বার্থে যা প্রয়োজন তাই করা হবে। হত্যাযজ্ঞের তথ্য চেয়ে ইতোমধ্যে দেশের সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কবরস্থান কর্তৃপক্ষের কাছেও তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রথমবারের মতো দেশের আদালতে ক্যামেরা বসবে। যে কেউ তা দেখতে পারবে যেকোনো জায়গা থেকেই।
এর আগে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আলোকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।