আইন-বিচার

এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের আশা চিফ প্রসিকিউটরের

বায়ান্ন প্রতিবেদন

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম ছবি: সংগৃহীত

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের আশা প্রকাশ করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমাদের সঙ্গে আইন উপদেষ্টার আলোচনা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছি। কারণ, ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন না হলে আদালতের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনেক আদেশ আমরা নিতে পারছি না। আদালতের আদেশ ছাড়া অনেক কাজ বন্ধ হয়ে আছে। তিনি (আইন উপদেষ্টা) আস্বস্ত করেছেন। সম্ভবত এক সপ্তাহের মধ্যে পুনর্গঠন হবে। সেটা হলে বিচারের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

এসময় তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আরও তদন্তকারী কর্মকর্তা দরকার এবং প্রসিকিউশনে আরও আইনজীবী নিয়োগ দিতে হবে। 

তিনি আরও বলেন,যাদের কাছে যা আলামত আছে, আহত ও নিহতের স্বজনদের সেসব তথ্য প্রসিকিউশনে জমা দেয়ার জন্য আহবান জানানো হয়েছে। এগুলো আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হচ্ছে।

ছাত্র আন্দোলনে গুলি করতে পুলিশের কাছে যে চাইনিজ রাইফেল ছিল, এটা নিয়েও তৎকালীন সরকারকে জবাব দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে গেলো ৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়া আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা হলেন মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ এবং আব্দুল্লাহ আল নোমান।

এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিমের কার্যক্রম চলমান থাকলেও ট্রাইব্যুনালে বিচারপতি না থাকায় বিচার কার্যক্রম থমকে আছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার গেলো ১৩ জুলাই অবসরে যান। অন্য এক সদস্য বিচারপতি হাইকোর্টে ফিরে গেছেন। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে কোনো বিচারপতি নেই।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন চিফ প্রসিকিউটর | আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল