নিজের ১৮ মাস বয়সী শিশুকে রশি দিয়ে হাত-পা ও মুখ কাপড় দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছেন মা। ২ লাখ টাকা দাবি করে নির্যাতনের এই ভিডিও পাঠানো হয়েছে শিশুর বাবার কাছে। ভুক্তভোগী ওই শিশুর নাম ফাতেমা আক্তার। গেলো মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, শিশুর মা সরুফা বেগম ভিডিওটি তার স্বামী তুষার মিয়ার কাছে পাঠালে তিনি বুধবার সেটি ফেসবুকে প্রকাশ করেন। পরে বিষয়টি ভাইরাল হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
তুষার মিয়া জানান, তার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত। তাই তার সঙ্গে মতভেদ সৃষ্টি হয়। সরুফা বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। সম্প্রতি দুই লাখ টাকা দাবি করে। তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার কন্যাশিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে হত্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেয়। তার মেয়ে বারবার মা মা বলে চিৎকার করলেও সরুফার মন গলেনি।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিন বছর আগে সরুফার সঙ্গে তুষারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পরের বছর তাদের সংসারে আসে কন্যাশিশু ফাতেমা। বিয়ের পর থেকেই পরকীয়ায় জড়ান সরুফা। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না।
এরপর থেকে সরুফা তার বাবার বাড়িতে থাকেন। তুষারের কাছ থেকে প্রায় সময় টাকা নিতেন সরুফা। সম্প্রতি তুষারের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন সরুফা। টাকা না দেয়ায় সরুফা এ ঘটনা ঘটান বলে জানান স্থানীয়রা।
নাসিরনগর উপজেলার ইউএনও জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুকে গাছে বেঁধে রাখার একটি ভিডিও দেখে তিনি ওসি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের বলেন, তুষার মিয়া আজ বিকেলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আই/এ
