আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

নবজাতককে হাসপাতালে রেখে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন মা

নবজাতককে হাসপাতালে রেখে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন মা

নবজাতককে হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে গেছেন মা। বুধবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর জনসেবা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. রোমান, শিশুর বাবা, নানি ও দাদি।

শিশুটির বাবার অভিযোগ, পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুটির মা। এ ঘটনার বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন তিনি। তবে কারও সঙ্গে পালানোর বিষয়টি অস্বীকার করে শিশুটির মা জানিয়েছেন, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতেই চলে গেছেন তিনি। 

শিশুর বাবা মো. সুমন বলেন, সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে তার স্ত্রী ইমু প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এর পর মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তিনি একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি নবজাতককে রেখে পালিয়ে যান।

ইমুর স্বামী বলেন, দুই বছর আগে চরপাতা গ্রামের আবদুর রশিদ মাস্টারবাড়ির মৃত শামসুল হকের মেয়ে ইমুকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন তিনি। দেড় বছর ধরে তিনি ঢাকা শহরে বাস চালান। বিয়ের পর থেকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রায়ই তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হতো। এ সময় ইমু বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক করে। একাধিকবার পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বৈঠক করেও তাকে ঠিক পথে আনা যায়নি। ইমু থানায়ও সুমনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে নানাভাবে হয়রানি করে। অবশেষে অনাগত সন্তানের কথা চিন্তা করে ঢাকায় নিয়ে একসঙ্গে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন তারা।

কয়েক দিন আগে ইমুকে নিয়ে বাড়িতে আসেন সুমন। ইমুর শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় চিকিৎসাও করানো হয়। এখন বাচ্চা জন্ম দিয়ে ফেনী শহরের ছেলে মো. হাসান নামে তার এক প্রেমিকের সঙ্গে চলে গেছে।

সুমন মিয়ার অভিযোগ, ইমুর দাদি ও ফুফুর কারণে তাদের সংসার নষ্ট হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে ইমু গণমাধ্যমকে বলেন, সুমনের দ্বিতীয় স্ত্রী তিনি। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শাশুড়ি তাকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করেছে। এ কারণে ওই বাচ্চা হাসপাতালে রেখে অজ্ঞাত স্থানে চলে এসেছেন। স্বামী ও শাশুড়ির ওপর প্রতিশোধ নিতেই এ কাজ করেছেন ইমু। তিনি এমনও বলেন সুমনের সঙ্গে এক বছর আগেই সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে তার।

ইমুর দাবি, তিনি কারও হাত ধরে যাননি। মা ও ছেলের বিচার করলে নবজাতকের কাছে ফিরবেন।

তার মা জাহানারা বেগম বলেন, আমার মেয়ে খুবই খারাপ। তাকে শাসন করতে পারিনি। তার বাবা মারা যাওয়ার পর দাদি ও ফুফুর কাছে থাকতো।

এ বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, নবজাতক শিশুটি তার নানি, দাদি, ফুফু ও বাবার কাছে হাসপাতালে রয়েছে। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নবজাতককে | হাসপাতালে | রেখে | প্রেমিকের | সঙ্গে | পালালেন | মা