আর্কাইভ থেকে জাতীয়

মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি : প্রধানমন্ত্রী

মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি : প্রধানমন্ত্রী

পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে আসছে। মানবিক কারণে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ সাময়িক আশ্রয় দিয়েছি। রোহিঙ্গারা যাতে সম্মানের সঙ্গে ও নিরাপদে তাদের নিজ দেশে যেতে পারে বাংলাদেশ সেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। বললেনপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর)  বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করার জন্য জাতিসংঘকে কার্যকর ও জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমি ৫টি প্রস্তাব তুলে ধরি। প্রস্তাবগুলো হলো: রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজনৈতিক সমর্থন ও মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখা; আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, জাতীয় আদালত এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে চলমান মামলায় সমর্থন প্রদান; জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অব্যাহত দমন-পীড়ন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা; আসিয়ানের পাঁচ-দফা ঐক্যমতে মিয়ানমারের অঙ্গীকারসমূহ এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করা এবং মিয়ানমারে জাতিসংঘসহ মানবিক সহায়তাকারীদের নির্বিঘ্নে প্রবেশ নিশ্চিত করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানের সময় প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম এনার্জি-এনভায়রনমেন্ট নিউজ, সিবিএস, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং দ্য পলিটিকো আমার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। এসব সাক্ষাৎকারে জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক সংকট এবং অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয়গুলো উঠে আসে।

যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের সফর শেষ করে ৪ অক্টোবর দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে, ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফরে লন্ডনে যান এবং সেখানে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং রাজা তৃতীয় চার্লস আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগদান করেন।

তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর, নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে, তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং এর পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মিয়ানমারের | সদিচ্ছার | অভাবে | রোহিঙ্গা | প্রত্যাবাসন | সম্ভব | হয়নি | | প্রধানমন্ত্রী