ভারতের উদ্দেশে পাচারকালে ঢাকার মিরপুরের শাহআলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বন্যপ্রাণী পাচারকারী আটকসহ ৩টি মুখপোড়া হনুমাননহ এবং একটি গাড়ি জব্দ করেছে বন বিভাগ ও শাহআলী থানা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত মো. নজরুলের (৩৫) বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলায়।
শাহ আলী থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে পাকা রাস্তার উপর নিয়মিত টহল দিচ্ছিল পুলিশের একটি টিম। রাত সাড়ে ৩টার দিকে একটি সিলভার রঙের প্রবক্স গাড়ির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে গাড়িটি থামিয়ে চেক করা হয়। তখন সেই গাড়ির পেছনের ডালায় দুটি বস্তায় ও একটি লোহার খাঁচায় ৩টি বন্যপ্রাণী হনুমান দেখতে পায় টহল পুলিশ। ওই গাড়ির চালক মো. নজরুলকে হনুমান ৩টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি এ সম্পর্কে পুলিশকে কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি এবং কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এ ঘটনায় পুলিশ নজরুলকে গ্রেপ্তার করে এবং হনুমান ৩টি উদ্ধার করে। সেইসঙ্গে হনুমান বহনে ব্যবহৃত প্রবক্স গাড়িটিও জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে গ্রেপ্তারকৃত নজরুল পুলিশকে জানিয়েছেন, মিরপুর ১১ নম্বরে মাহিম অ্যাকুরিয়াম বার্ড প্যালেসের মো. হাদিছ ওরফে নিরবের (৩২) কাছ থেকে চুয়াডাঙ্গার অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য এ হনুমান ৩টি তিনি নিয়ে যাচ্ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত নজরুল এই হনুমান মো. হাদিস রহমান ওরফে নিরব (৩২) এর কাছ থেকে সংগ্রহ করে চুয়াডাঙ্গা জেলায় অজ্ঞাতনামা ১ ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য যাচ্ছিল। তারা প্রায়সই এসকল বন্যপ্রাণী বান্দরবনের আলিকদম এলাকা হতে সংগ্রহ করে ভারতে পাঠিয়ে থাকেন বলেও জানায়।
ডিএমপি সূত্র জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত হনুমান ৩টি যথাযথ প্রক্রিয়ায় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কাছে নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত নজরুলকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘটনায় জড়িত পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হাদিস রহমানের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ও একাধিক বনপ্রাণী পাচারের মামলা রয়েছে বলে বন অধিদপ্তর নিশ্চিত করেছে।
এসি//