বাংলাদেশ

সাবেক ১০ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ

বায়ান্ন প্রতিবেদন

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকসহ ১৪ জনকে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে হাজির করার করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে বলা হয়েছে। 

রাষ্ট্রপক্ষের পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৭ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম তাদের গ্রেপ্তার ও ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন।

সাবেক আইনমন্ত্রী ছাড়া অন্য যাদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন- সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ফারুক খান, সালমান এফ রহমান, কামাল আহমেদ মজুমদার, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হক, জুনায়েদ আহমেদ পলক, তৌফিক এলাহী, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলমসহ মোট ১৪ জন।

উল্লেখ্য, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। এই ট্রাইব্যুনালে ইতোমধ্যে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অনেকের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আরও কয়েকজনের বিচার ট্রাইব্যুনালে চলছিল।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ঘোষণা দেয়া হয়। ইতোমধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে হত্যার অভিযোগ জমা পড়েছে।

 

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গণহত্যা | ট্রাইব্যুনাল