কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীতে ইলিশ রক্ষা অভিযানে গিয়ে অবৈধ ইলিশ শিকারিদের হামলায় পুলিশের দুই সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজের ৩৫ ঘণ্টা পর এএসআই সদরুল আলমের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। অপর পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধারে অভিযান অব্যহত আছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার শিলাইদহ খেয়াঘাট এলাকা থেকে ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অভিযান) পলাশ কান্তি নাথ।
তিনি বলেন, কুমারখালী থানার এএসআই সদরুলের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তার পরিবারের লোকজন মরদেহ শনাক্ত করেছে। আজ সকাল থেকে কুষ্টিয়া ও কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস এবং খুলনা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ৭ জন ডুবুরিদলসহ মোট ১১জন ডুবুরি উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে সোমবার ভোর রাতে কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড় কালোয়া এলাকার পদ্মা নদীতে নৌকায় আসামি ধরতে গেলে অবৈধ ইলিশ মাছ শিকারি দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। এ সময় নৌকা ডুবে যাওয়ার উপক্রম হলে কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল আলম এবং এএসআই মুকুল হোসেন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন।
প্রসঙ্গত, হামলার ঘটনায় আহত হন আরও এক এসআই নজরুল ইসলাম ও কয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য ছানোয়ার হোসেন।
আই/এ