ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ পাঁচ নেতার প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এ ‘প্রতীকী ফাঁসি’ কার্যকর করেন ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-শ্রমিক জনতা।
ছাত্র জনতার ফাঁসির মঞ্চে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর ছবি দিয়ে পাশাপাশি কুশপুত্তলিকা রাখা হয়।
ক্ষণ গণনার পর মঞ্চের পর্দা তুলে প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
প্রতীকী ফাঁসি শেষে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যেকোনো প্রক্রিয়ায় পুনরায় ফিরে আসতে চাইছে। যারা গণহত্যা করেছে, গুম-খুন করেছে ও তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। তাদের রাজনৈতিক অপতৎপরতা নিষিদ্ধ করার পাশপাশি, যারা এমপি মন্ত্রী হয়েছে, তাদের বিচার করার দাবি জানান তিনি।
আন্দোলনে হত্যাকারীদের বিচারে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, আপনারা গণ অভ্যুত্থানের স্পিরিট এর সাথে বেঈমানী করবেন না, এ স্পিরিটকে কলঙ্কিত করবেন না। এসময় সরকার পতনের পর গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের কারাগারে বিশেষ মর্যাদা না দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
আই/এ