রাজনীতি

‘৭ নভেম্বরের চেতনা ও ছাত্র-জনতার বিপ্লব একসূত্রে গাঁথা’

বায়ান্ন প্রতিবেদন

৭ নভেম্বরের চেতনা ও ছাত্র-জনতার ৫ আগস্টের বিপ্লব একসূত্রে গাঁথা। এবারের বিপ্লব ও সংহতি দিবসটি আমরা এমন একটা পরিস্থিতিতে উদযাপন করছি যখন আধিপত্যবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা একটি গণবিপ্লব সংগঠিত করেছে। বলেছেন জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আল্লাহর তরফ থেকে এ জাতির প্রতি এ উম্মার প্রতি পরীক্ষার পর পরীক্ষার মধ্য দিয়ে একটা নতুন বাংলাদেশের অভিযাত্রা, নতুন দিগন্ত সূচিত হয়েছে। এবারের ৭ নভেম্বর আমরা এমন একটা পরিস্থিতিতে উদযাপন করছি যখন আধিপত্যবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা একটি গণবিপ্লব সংগঠিত করেছে।

তিনি বলেন, এখন দেশে গণতন্ত্র ও দেশের মানুষকে পূর্ণভাবে মুক্ত করতে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে আরেকটি বিপ্লবের প্রয়োজন। যা এই জাতির ভবিষ্যৎ রচনা করবে।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে আধিপত্যবাদ ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সিপাহি জনতার সফল বিপ্লব সংঘটিত হয়। সেদিন জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। একদলীয় শাসনের পরিবর্তে এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল।

তিনি আরও বলেন, দেশে পতিত আওয়ামী গোষ্ঠী আবারো ক্ষমতায় এসে আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত করে, গণতন্ত্র নির্বাসিত করে দেয় ও মানবাধিকার বিপন্ন করে তোলে, ভোট ও ভাতের ন্যায্য অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করে। দীর্ঘ ১৫ বছরে গুম, খুন, ধর্ষণ মহামারি আকারে বিস্তার লাভ করেছিল। দেশের মানুষ গেলো ৫ আগস্ট স্বৈরাচারকে সমূলে উৎখাত করেছে। এখন দেশে গণতন্ত্র ও দেশের মানুষকে পূর্ণভাবে মুক্ত করতে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে প্রয়োজন আরেকটি বিপ্লবের। যা এ জাতির ভবিষ্যৎ রচনা করবে।

সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সংকুচিত করে, বাক স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ জনগণের সব মৌলিক অধিকার হরণ করেছিল মুজিব সরকার। ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের চেতনা মূলত আধিপত্যবাদী ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে এক ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের চেতনা। বিপ্লব-সংহতির মাধ্যমে ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বর আধিপত্যবাদকে পরাভূত করে দেশপ্রেমিক সিপাহী-জনতা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছিল। যেমনিভাবে ৫ আগস্ট ছাত্র জনতা আবারো দেশকে রক্ষা করেছে।

তিনি বলেন, আমরা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দেশবাসীকে বলতে চাই, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ জামায়াতের কাছে আমানত। দেশের জনগণকে রক্ষা করতে যদি রক্ত লাগে দেশের জন্য জীবন দিতে হয় আমরা প্রস্তুত।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগর সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো. দেলোয়ার হোসেন, মু. কামাল হোসাইন ও ড. মোহাম্মাদ আব্দুল মান্নান।

 

এসি//

 

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ছাত্র-জনতা বিপ্লব