জাতীয়

আদানিকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের প্রতিশ্রুতি

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ভারতের আদানি পাওয়ারকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধে নতুন ঋণপত্র (এলসি) ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ বাংলাদেশের কাছে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস।

এ বিষয়ে অবগত একজন কর্মকর্তা জানান,এটি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) কর্তৃক আদানি পাওয়ারকে দেয়া তৃতীয় এলসিবাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এই এলসি ইস্যু করেছে; এই এলসির ভারতীয় পক্ষ হচ্ছে আইসিআইসিআই ব্যাংক। আগের এলসিগুলো বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।

জানা যায়, বাংলাদেশ আদানি পাওয়ার থেকে ১,৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পায়। এর মধ্যে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় তাদের কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রায় ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আদানি পাওয়ার বিপিডিবির কাছে অতিরিক্ত ১৫-২০ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছে। এই অর্থ না দিলে কোম্পানিটি বন্ধ করে দেওয়া প্রথম ৮০০ মেগাওয়াটের ইউনিটটি ফের চালু করবে না। যা গত সপ্তাহে বন্ধ হয়ে গেছে।

একজন শিল্প কর্মকর্তা জানান, আইএমএফ থেকে ঋণ পাওয়ায় বিপিডিবি ধীরে ধীরে পাওনা পরিশোধ করছে জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে আদানি পাওয়ারের পাওনা ছিল প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্তত অর্ধেক বকেয়া পরিশোধ করেছে।

প্রতি মাসে বিদ্যুতের জন্য আদানিকে প্রায় ৯৫-৯৭ মিলিয়ন ডলার দিতে হয়।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বিদ্যুতের প্রায় ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করে আদানি গ্রুপ২০১৫ সালে বিপিডিবির সঙ্গে  ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) করে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আদানি