ঢাকায় গিয়ে সমাবেশে যোগ দিলেই সর্বনিম্ন এক লাখ থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ঋণ দেয়ার প্রলোভনে সারা দেশ থেকে লাখো মানুষকে জড়ো করা হচ্ছিল। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত থেকেই ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস, ট্রাক, পিকআপে করে মানুষ জড়ো হতে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি এবং শাহবাগ এলাকায়। তবে পুলিশ এবং শিক্ষার্থীরা তাদের ফেরত পাঠিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, একটি চক্র কৌশলে রাতের আঁধারে ঢাকার শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা দখলের পাঁয়তারা করেছিল। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) ‘রাজধানীর শাহবাগে মহাসবেশ’ লেখা ব্যানারও দেখা গেছে জড়ো হওয়া লোকজনের গাড়িতে।
আ.ব.ম. মোস্তফা আমীন নামে এক ব্যক্তির নামে লিফটলেট পাওয়া গেছে তাদের কাছে। যেখানে মোস্তফা আমীনকে ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ এর আহ্বায়ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একটি লিফটলেটে সমাবেশের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৮ আগস্ট, স্থান: শাহবাগ মোড়।
তবে আরেকটি লিফলেটে ২৫ নভেম্বর সকাল ১০টায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা বলা হয়েছে। ওই লিফটলেটের শিরোনাম ‘লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার করবো, বিনা সুদে পুঁজি নেবো।’
তবে গ্রামের সাধারণ মানুষকে টাকা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জড়ো করা হচ্ছে জানতে পেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়ো হওয়া মানুষ এবং তাদের যানবাহনগুলো ফেরত পাঠায়।
প্রলোভন দেখানো বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। ভুয়া গণঅভ্যুত্থান ও প্রতিবিপ্লবের ডাক দেয়া চক্রের হোতাদের খুঁজে বের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এসি//