রংপুর মহানগরীর একটি মাদরাসার নির্মাণাধীন ভবনের বাথরুম থেকে সিয়াম ইসলাম (১০) নামের এক শিশুশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুর বাবার দাবি তার সন্তানকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষকসহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিয়ামের বাবা ভুট্টু মিয়া জানান, তাঁর ছেলেকে (১০) ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। তাঁর শরীরে আঘাত-নির্যাতনের অনেক চিহ্ন আছে, ঘাড় মটকে দেয়া হয়েছে। মাত্র তিন সপ্তাহ আগে শিশুটিকে মাদ্রাসাটির লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে ভর্তি করানো হয় বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে মাদ্রাসার এক শিক্ষক তাঁকে ফোন করে তার সন্তানের অসুস্থতার খবর জানান। সেই সঙ্গে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। কিন্তু তিনিসহ তাঁর পরিবারের লোকজন মাদ্রাসায় গেলে বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা করতে থাকে কর্তৃপক্ষ। পরে মাদ্রাসা কমিটির লোকজন জানান, তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বিকেলে মাদ্রাসাটির মাঠে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল সিয়াম। মাগরিবের নামাজের সময় তাকে মসজিদে দেখা যায়নি। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে মাদ্রাসাটির নির্মাণাধীন এক ভবনের তিনতলার বাথরুমে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ হালিম মিয়া জানান, প্রাথমিক তদন্তে শিশুটির শরীরে বলৎকার ও শ্বাসরোধে হত্যা হয়েছে, এমন কিছু আলামত পাওয়া গেছে। ব্যবহৃত পায়জামাতেও এর কিছু নমুনা রয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া এখন প্রকৃত ঘটনাটি বলা সম্ভব নয়।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি জানান, ঘটনার পরপরই সন্দেহভাজন হিসেবে মাদরাসাশিক্ষক আব্দুর রহমান আবদুল্লাহ ও মাদরাসাছাত্র মোখলেছুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। খুব শিগগিরই প্রকৃত ঘটনার সত্যতা উন্মোচন হবে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা একটি মামলা করেছেন।
প্রসঙ্গত, ওই মাদ্রাসায় এর আগেও শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আই/এ