মহানবী (সা.) সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কাজেও নারীদের যুক্ত করেছেন। যুদ্ধ ক্ষেত্রে নারীদের যুক্ত করেছেন। তাই আমরা তাদের আটকে রাখার কে? তারা সামর্থ্য অনুযায়ী দেশের জন্য আত্মনিয়োগ করবে। তাদের পোশাক নিয়ে আমরা বাধ্য করব না। তারা ইচ্ছামতো পোশাক পরতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, মা-বোনরা ঘরেও সুরক্ষিত থাকবে, কর্মস্থলেও সুরক্ষিত থাকবে। তাদের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকাতে পারবে না। জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয় যে,জামায়াত ক্ষমতায় আসলে নারীদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হবে না। কিন্তু এমন হবে না বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চমৎকার বাগান। এই বাগানে মাঝে মধ্যে হুতুমপেঁচা ঢুকে পড়ে। এদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। জামায়াত এমন একটি দেশ চায় যেখানে মসজিদ, মন্দির, মঠ, গির্জা কোনো কিছুই পাহারা দেওয়া লাগবে না।
তিনি আরও বলেন, যত ষড়যন্ত্রই হোক তা ব্যর্থ করতে হবে। দেশের প্রতি যাদের ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা নেই, তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই দেশের এক টুকরো মাটিও হায়েনাদের হতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
চব্বিশের বিজয় এমনি এমনি আসেনি উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর দিনের বেলায় লগি-বৈঠা দিয়ে খুনিরা আদম হত্যায় মেতেছিল। মানুষের মরদেহের ওপর তারা লাফিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকে রক্তের হলি খেলায় মেতেছিল। তারা পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং বিচারের নামে জামায়াতের নেতাদের হত্যা করেছে।
জামায়াতের এ শীর্ষ নেতা বলেন, যারা এর প্রতিবাদ করতে এসেছে, তাদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড সাতক্ষীরায় হয়েছে।
আই/এ