খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। এটি এখন আমাদের জন্য অনিবার্য এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আজ মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার প্রারম্ভিক বক্তব্যে এ আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন।
তিনি বলেন, দেশবাসীকে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। বিশ্ব সম্প্রদায় আগামী বছরে একটি গভীর সংকটের আশঙ্কা করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধান, সরকার প্রধান এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেছেন, বিশেষ করে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়, যেখানে সকলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ২০২৩ সালে একটি গুরুতর দুর্ভিক্ষ হতে পারে যখন অর্থনৈতিক মন্দা আরও গভীর হবে এবং খাদ্য সংকট দেখা দেবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে অনেক দেশে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সুতরাং, আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সাথে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের একটা সুবিধা আছে যে আমাদের জমি অনেক উর্বর এবং যেখানেই বীজ বপন করা হয় সেখানেই কিছু উৎপন্ন হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এটা বলতেন।
সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই বাণী অনুসরণ করে ব্যাপকভাবে খাদ্য উৎপাদনে মনোযোগ দিতে হবে। শুধু তাই নয় খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থাও করতে হবে। পাশাপাশি জনগণকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমরা কোনো অপ্রয়োজনীয় খরচ বাড়াব না, বরং আমরা বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি, গ্যাস ইত্যাদি ব্যবহারে আরও সাশ্রয়ী এবং সচেতন হবো।
বিপ্লব আহসান