দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে সব সময় চেষ্টা করা হচ্ছে। একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না। রপ্তানি পণ্য বৃদ্ধিতে বহুমুখী কৃষি পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১২ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের আমদানি নির্ভরতা কমানোর উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। পচনশীল কৃষিপণ্য রক্ষায় অঞ্চলভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানের সংরক্ষণাগার গড়ে তুলতে হবে; এ জন্য সরকার আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।’
‘উৎপাদন ঠিক রাখতে পারলে, বিশ্বে খাদ্য সংকট তৈরি হলেও বাংলাদেশ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অন্য দেশকে সহায়তা করতে পারবে।’
দীর্ঘস্থায়ী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বাংলাদেশ যাতে দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি না হয় সেজন্য প্রস্তুত থাকুন।
তিনি বলেন, আমাদের মাটি ও মানুষ আছে। তাই এখন থেকেই আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে, বাংলাদেশ যাতে কখনো দুর্ভিক্ষ বা খাদ্য সংকটে না পড়ে। আমরা আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াব।
তিনি আরও বলেন, ‘গবেষণা ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়, তাই গবেষণা বাড়াতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘এতো তাড়াতাড়ি রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হবে না। করোনার সময় অস্ত্র বিক্রি করতে পারেনি। যুদ্ধে কিছু দেশের লাভ হচ্ছে। কিন্তু সারাবিশ্বের মানুষ ভুগছে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিদেশ থেকে ভিক্ষা পাওয়া বন্ধ হোক, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক, এটা চায়নি বিএনপি সরকার।মানুষের কাছে হাত পাতা, ভিক্ষা চাওয়া ছিল খালেদা-জিয়া-এরশাদ সরকারের লক্ষ্য।’
কৃষি খাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার দেয়া হয়। এরমধ্যে ১৪২৫ সালের বাংলা বছরে পেয়েছেন ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ১৪২৬ সালের বাংলাবর্ষে পেয়েছেন ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে ৪৪ পুরস্কারজয়ীর মধ্যে ৩টি স্বর্ণ, ১৬টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জ পদক দেয়া হয়। এ ছাড়া বিজয়ীদের সনদপত্র, পদক ও নগদ টাকা প্রদান করা হয়।
স্বর্ণ পদক ভূষিতদের ১ লাখ টাকা, রৌপ্য পদক ভূষিতদের ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জ প্রাপ্তদের ২৫ হাজার টাকা নগদ অর্থ দেয়া হয়।
তাসনিয়া রহমান