সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই এটি হ্যাকারদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। শক্তিশালী নিরাপত্তা ও এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন থাকা সত্ত্বেও নতুন কৌশলে হ্যাকাররা হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তথ্য চুরি করছে। শুধু তাই নয়, পরিচিতজনদের বার্তা পাঠিয়ে প্রতারণাও করছে তারা। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাকড হয়েছে? চলুন দেখে নেওয়া যাক ৫টি লক্ষণ।
যদি হঠাৎ করে অচেনা নম্বর থেকে বার্তা আসতে শুরু করে, বা আপনার পাঠানো মেসেজে নতুন তথ্য বা ছবি যুক্ত হয়, তাহলে সতর্ক হোন। এমনকি ‘পঠিত’ চিহ্ন দেখা গেলেও যদি আপনি তা না পড়েন, তবে বুঝতে হবে অন্য কেউ আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছে।
হোয়াটসঅ্যাপ একাধিক ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। তবে যদি হঠাৎ অপরিচিত মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে লগইন করা হয়, তাহলে সন্দেহের কারণ রয়েছে। লিংকড ডিভাইস অপশনে গিয়ে চেক করুন কোন কোন ডিভাইসে আপনার অ্যাকাউন্ট চালু রয়েছে। অপরিচিত ডিভাইস দেখলেই দ্রুত লগআউট করুন।
আপনার প্রোফাইল ছবি, নাম, বা বায়ো যদি অপ্রত্যাশিতভাবে পরিবর্তিত হয়, তাহলে বুঝে নিন হ্যাকার আপনার অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা সাধারণত প্রতারণার উদ্দেশ্যে এ ধরনের কাজ করে।
যদি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের সময় ফোন ধীর গতিতে কাজ করে বা চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে অ্যাকাউন্টটি হ্যাকড হতে পারে। ফোন অতিরিক্ত গরম হওয়া আরেকটি লক্ষণ। কারণ পটভূমিতে হ্যাকাররা বিভিন্ন অ্যাপ চালিয়ে ফোনের পারফরম্যান্স কমিয়ে দেয়।
বন্ধু বা পরিবারের কেউ যদি আপনাকে জানায়, আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারণামূলক বার্তা যাচ্ছে বা টাকা চাওয়া হচ্ছে, তবে এটি স্পষ্ট প্রমাণ যে অ্যাকাউন্টটি হ্যাকড হয়েছে।
হ্যাকড হওয়া অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করা বেশ সহজ। ফোন নম্বর দিয়ে পুনরায় লগইন করুন এবং এসএমএসে আসা ৬ ডিজিটের কোড ব্যবহার করুন। হ্যাকার যদি দুই স্তরের ভেরিফিকেশন চালু করে থাকে, তাহলে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। নিরাপদে থাকতে সবসময় দুই স্তরের ভেরিফিকেশন চালু রাখুন এবং অজানা লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।
জেডএস/