১৮১ জন যাত্রী নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেজু এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ১২০ জন মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে উড়োজাহাজের বেশিরভাগ আরোহীই মারা গেছেন। দুই ইঞ্জিনের উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিধ্বস্ত হয়। এমন একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে দেখা গেছে। উড়োজাহাজটি দ্রুতগতিতে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে সঙ্গেসঙ্গেই বিধ্বস্ত হয়ে আগুন লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডুলিতে আকাশ ছেয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানাগেছে, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে উড়োজাহাজটির পেটের ওপর ভর করে (বেলি ল্যান্ডিং) অবতরণের চেষ্টা করেছিল। ধারণা করা হচ্ছে উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ারগুলো পুরোপুরি খুলেনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, জোড়া ইঞ্জিনের উড়োজাহাজটি চাকা ছাড়াই রানওয়ে দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত ছেঁচড়ে যায়। তারপর রানওয়ে থেকে বেরিয়ে গিয়ে দেয়ালে ধাক্কা খায়। এরপরই উড়োজাহাজটির বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলে। ধোঁয়া বের হতে থাকে। দেশটির দমকল বাহিনী আশঙ্কা করছে, পাখির ঝাঁকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, উড়োজাহাজটিতে ছয়জন ক্রুসহ ১৮১ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এদের একজন যাত্রী ও একজন ফ্লাইট এ্যাটেনডেন্ট। ঘটনাস্থলে অন্তত ৩২টি ফায়ার ট্রাক ও প্রচুর দমকল কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। মুয়ান বিমানবন্দর রাজধানী সিউল থেকে ২৮৮ কিলোমিটার দূরে। দুর্ঘটনার পর সেখানে সব ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা হতে পারে। এদিকে ইয়োনহাপ রিপোর্ট করেছে, থাইল্যান্ড থেকে ফেরার পথে উড়োজাহজাজটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করার সময় “পাখির সঙ্গে সংঘর্ষে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে” দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।