পঞ্চগড়ে আটোয়ারী-বোদা কিসমত রেলস্টেশনে দ্রুতযান একপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে লাল কাপড় টানিয়ে রেললাইন অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। এসময় সান্তাহারগামী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে আটকা পড়ে যায়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয়রা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সোয়া আটটা পর্যন্ত রেললাইন অবরোধ করে রাখে স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বোদা ও আটোয়ারী উপজেলার মানুষের জন্য ঢাকা সহ অন্যান্য গন্তব্যে যাওয়ার জন্য সুবিধাজনক স্টেশন কিসমত রেল স্টেশন। তবে এ স্টেশনে দ্রুতযান এক্সপ্রেসটি ট্রেনটি দীর্ঘদিন ধরে বিরতি ছিল। আগামীকাল থেকে এ স্টেশন থেকে ট্রেনটির যাত্রা বিরতি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদের লাল কাপড় টানিয়ে রেললাইন অবরোধ করেন তারা। এতে শতাধিক স্থানীয় মানুষজন অংশ নেন।
স্থানীয় আবু হাসান বাবু (২৫) নামে এক ব্যাক্তি বলেন, এ স্টেশনটিতে ঢাকা ও রাজশাহী সহ বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রী যাওয়া আসা করে। তাই দ্রুতযান এক্সপ্রেসটির যাত্রা বিরতি প্রত্যাহার নয়, নিয়মিত চালু রাখা হয় সে দাবিতে এলাকাবাসী অবরোধ করেছে। অবরোধের খবর শুনে ইউএনও ও পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সাথে কথা বলেন। তাদের দাবির কথা শুনেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক বরে সাথে কথা বলবেন এমন আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
কিসমত রেলস্টেশন মাস্টার বজলুর রহমান জানান, এ স্টেশনে দ্রুতযান এক্সপ্রেসটি ট্রেনটি বিরতি ছিল। এটা দুই মিনিট বিরতি ছিল। এ ট্রেনটির টিকেট খুবই কম বিক্রি হচ্ছে। তাই যাত্রাবিরতি প্রত্যাহার করে কতৃপক্ষ।
আটোয়ারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন,স্থানীয়দের বক্তব্য প্রতিবাদ লিপি আকারে দিতে বলা হয়েছে। এটা পেলে জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া হবে। তিনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবেন।
উল্লেখ্য,কিসমত স্টেশনটিতে দ্রুতযান একপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস, দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গ মেইল, পঞ্চগড় কমিউটার, কাঞ্চন কমিউটার ও লোকাল ট্রেন চলাচল করছে। দুই উপজেলার একমাত্র রেলওয়ে স্টেশন হওয়ার কারণে দুই উপজেলার মানুষের কাছে জনপ্রিয়।
আই/এ