বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী) সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার ৯ টায় পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।
তাপমাত্রা একটু বাড়লেও শীতের প্রকোপ কমেনি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন জনপদ সূর্যের দেখা মেলেনি। বয়ে যাচ্ছে উত্তরের হিমশীতল বাতাস। তীব্র শীতে মানুষজন জড়োসড়ো হয়ে পড়েছে। এই শীতে খেটে খাওয়া কর্মজীবী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। টানা কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে পঞ্চগড়ে হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ঠান্ডাজনিত এসব রোগ এড়িয়ে চলতে সচেতন থাকার পাশাপাশি শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বাড়তি যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০০ শয্যার এই পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি ছিল ২১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩ জন, নারী ১০৫ জন এবং নবজাতক ও শিশু ৫৬টি। এ ছাড়া শীতজনিত ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে আরও ৫টি। উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতেও রোগীর সংখ্য বেড়েছে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের শয্যার তুলনায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশির ভাগ শিশুরা ভর্তি হয়েছে। শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগ এড়াতে বাড়তি যত্ন নিতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের যেন কোনোভাবেই ঠান্ডা না লাগে, বাসি খাবার না খায় সে বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। এ ছাড়া এসব রোগবালাই ঠেকাতে অবশ্যই শিশুদের যেসব টিকা আছে, সেগুলো সঠিক সময়ে নিতে হবে। শীতের সময় বয়স্ক ব্যক্তিদেরও বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তরের হীমশীতল বাতাস বয়ে যাচ্ছে এতে বেশ শীত অনুভুত হচ্ছে। জানুয়ারী মাস জুরে শীতের প্রকোপ থাকবে।
এমএইচ//