শেখ হাসিনা সরকারের স্বৈরাচারী হয়ে ওঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও দায় আছে বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘এটা যে ঘটেছে, এর জন্য পুরো বিশ্ব দায়ী। তবে এটা বিশ্বের জন্য একটি শিক্ষা।’
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেছেন ড. ইউনূস।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘‘তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছিলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধির হার অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। এটা একেবারে ভুয়া প্রবৃদ্ধির হার।’’
কেন তিনি এই প্রবৃদ্ধির হারকে ভুয়া বলে মনে করেন সে বিষয়ে রয়টার্সকে বিস্তারিত কিছু বলেননি ড. ইউনূস। তবে ব্যাপক-ভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির গুরুত্ব ও সম্পদের বৈষম্য কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ শেখ হাসিনা দাভোসে এসে দেশ কীভাবে চালাতে হয়, সে কথা সবাইকে বলেছিলেন। কেউ তখন প্রশ্ন করেননি। এটা মোটেও কোনো ভালো বিশ্বব্যবস্থা নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রবৃদ্ধির হার দিয়েই সবকিছু বিবেচনা করার খুব একটা পক্ষে নই। আমি চাই একেবারে প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষের উন্নত জীবনমান। আর এ কারণেই আমি এমন অর্থনীতি চাই, যেখানে সম্পদ পুঞ্জীভূত করার ধারণা এড়িয়ে চলা হয়।’
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্ক যতটা সম্ভব শক্তিশালী হওয়া উচিত। বাংলাদেশের মানচিত্র ছাড়া ভারতের মানচিত্র আঁকা সম্ভব নয়।’ ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে দীর্ঘদিনের বন্ধু উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে খুব পীড়া দেয়।
আগামী নির্বাচনে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো আগ্রহ নেই বলেও বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ।
আই/এ