আবহাওয়া

সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

মাঘের তীব্র শীতে আবারও স্থবির হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়ের মানুষের জীবন যাত্রা । দিনে ও রাতে কুয়াশার সাথে উত্তরের হিমেল বাতাসে  হাড়কাঁপানো তীব্র শীত জেলার সর্বত্র জেঁকে বসেছে। হাড় কাঁপানো শীতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১০  ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, কনকনে শীতে মানুষ কাবু হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। কুয়াশার সাথে বরফের পাহাড় হিমালয় থেকে বয়ে আসা শীতল বাতাস শীতের প্রকোপ বাড়িয়ে দিয়েছে  । ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যন্ত এখানকার মানুষের জীবন। বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। প্রচন্ড শীতে  খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপদে পড়েছেন। কুয়াশার কারণে সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে।তীব্র শীত উপেক্ষা করে  তবুও জীবিকার তাগিদে  ঘর থেকে বের হচ্ছেন কর্মজীবি-শ্রমজীবী মানুষ।

বৃহস্পতিবার সারা দিন সুর্যের দেখা মিলেনি,কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল সমগ্র জনপথ। শুক্রবার এ রিপোট লেখা পর্যন্ত সুর্য উঁকি দেয়নি। বোরো চাষের মোক্ষম সময় শুরু হলেও তীব্র শীতে কৃষকরা বোরো চারা রোপনে মাঠে নামতে পারচ্ছেনা।  শীত ও কুয়াশায় বৃদ্ধ ও শিশুরা কাবু হয়ে পড়েছে।

হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। গ্রামগুলোতে সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।সকালে ও সন্ধ্যায় হাট-বাজার ও শহরের মোড়ে মোড়ে মানুষজনদের খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নির্বারনের জন্য শরীরে আগুনের তাপ নিতে দেখা গেছে।

 এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় এখানে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।  গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাঞ্চলের এ জেলাটিতে বেড়েছে শীতের দাপট। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় জেলার জনজীবন কাবু করে দিচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষেরা। হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেই জীবিকার প্রয়োজনে তাদের কর্মস্থলে ছুটতে হচ্ছে। নিতান্তই প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষদের হাট-বাজরে বা কর্ম ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে।

জেলার বালাভীড় গ্রামের কৃষি শ্রমিক মকতারুল ইসলাম বলেন, একদিকে ঠান্ডা বাতাস অন্যদিকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। রাস্তা ঘাট কিছু দেখা যায় না। অনেক কৃষক বোরো চারা রোপনের জন্য হাজিরা যাচ্ছে কিন্তু  শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না।

একই গ্রামের ভ্যান চালক আনিছুর রহমান বলেন, কুয়াশা ও শীত বেড়ে যাওয়ায় গত দুইদিন ধরে ভ্যান চালাতে যাননি।

 

 আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পঞ্চগড়