জার্মানিতে শুরু হয়েছে সংসদ নির্বাচন। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। ভোটকেন্দ্রগুলো বন্ধ হওয়ার পরপরই সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৬টা ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রাথমিক ফলাফল বা এক্সিট পোল প্রকাশিত হবে। এবার প্রায় ৬ কোটি ভোটার নির্বাচনে ভোট প্রদান করবে।
জার্মানির জনমত জরিপ প্রতিষ্ঠান এআরডি-ডাচল্যান্ডট্রেন্ডের জরিপ অনুসারে, জার্মান জনগণের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অভিবাসন, যা ৩৭ শতাংশ মানুষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন। গত মাসের তুলনায় এটি ১৪ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া অর্থনীতির অবস্থা, সশস্ত্র সংঘাত, পররাষ্ট্রনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ সুরক্ষা, অসমতা, দারিদ্র্যতা, শিক্ষা, সন্ত্রাস ও অপরাধ, পেনশন ব্যবস্থা, মুদ্রাস্ফীতি ও স্বাস্থ্যসেবার মতো বিষয়গুলো আলোচনায় আছে।
তবে এবারের নির্বাচনে এবারের নির্বাচনী প্রচারজুড়ে অভিবাসন আর নিরাপত্তাই প্রধান আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছিল।
নির্বাচনী জরিপে দেখা গেছে, কট্টর ডানপন্থী দল জার্মানির জন্য বিকল্প (এএফডি) থেকে মধ্য-ডানপন্থী দল ক্রিশ্চিয়ান গণতান্ত্রিক দল (সিডিইউ) ও তাদের সহযোগী দল ক্রিশ্চিয়ান সামাজিক দল (সিএসইউ) প্রায় ১০ শতাংশ এগিয়ে রয়েছে।
এবারের নির্বাচনে জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা থাকলেও বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস (এসপিডি) ও ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হাবেকের (সবুজ দল) জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে সিডিইউ-সিএসইউর নেতা ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎসের।
এবারের নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সরাসরি সরকারের নেতৃত্ব পাবেন না। বরং তারা জোট গঠন করে সরকার পরিচালনার চেষ্টা করবেন।
জার্মানির নির্বাচন ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক ও আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মডেল হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রতিটি ভোটার দুটি ভোট প্রদান করেন। প্রথম ভোটের মাধ্যমে সরাসরি একটি সংসদ সদস্য নির্বাচন করা হয় এবং দ্বিতীয় ভোটটি রাজনৈতিক দলের জন্য। দ্বিতীয় ভোটের ফলাফল অনুযায়ী সংসদে দলগুলোর আসন সংখ্যা নির্ধারিত হয়। কোনো দল যদি ৫ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পায়, তবে তারা সংসদে আসন পেতে সক্ষম হয়।
এমএ//