আসছে রমজান মাস। এরই মধ্যে বাজারে সব রকমের দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষের জীবনকে করে তুলছে দুর্বিসহ।
বিশেষ করে গরুর মাংস, মাছ , চাল তেল, আর সবজিসহ সব পণ্যের দামই বেশী। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি প্রভাব পরছে জনজীবনে।
শুক্রবার কারওয়ান বাজার বাবুবাজারসহ পাইকারি চালের বাজারে দেখা গেছে, যে কোন ধরনের চালের দাম প্রতি কেজিতে দুই থেকে চার টাকা বেশী। গেল সপ্তাহে যে চাল ছিলো ৬৮ টাকা তা বেড়ে হয়েছে ৭০ থেকে ৭২ টাকা । নাজিরশাইল, মিনিকেট, আটাশ সব চালের দামই ২ থেকে ৪ টাকা বেশী। মোটা চাল ও কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে চার টাকা।
বাবুবাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ি রহিম জানান ভাবতীয় চালের আমদানি কম অন্যদিকে মিল মাীলকদের কারসাজি ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম উর্ধ্বগতি।
এদিকে গেল সপ্তাহ চেয়ে এই সপ্তাহে মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ৫০ টাকা। এখন সব ধরনের মুরগির সাপ্লাই অনেক কম তাই দামের এ তারতম্য বলে জানালেন মুরগি ব্যবসায়ি রহমত মিয়া।
তবে মাছের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল। রুই কাতল যথাক্রমে কেজিপ্রতি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।এছাড়া অন্যান্য মাছের দাম গত সপ্তাহের মতই আছে।
এছাড়া ভজ্য তেলের দামও বেড়েছে। ভোজ্যতেলের দাম সরকারিভাবে নির্ধারন করে দেয়া আছে তবুও কোম্পানিরা বেশী দামে সরবরাহ করছে বলে দোকানিরা বেশী দামে বিক্রি করছে বলে জানায় কারওয়ার বাজার মুদি দোকানি আলী।কোম্পানি ভেদে তেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা বেড়েছে।
এদিকে সব রকমের সবজি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।
পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩ টাকা কমছে।
গরমে লেবুর চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে।এক হালি লেবু মাঝারি আকারের বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। আর বড় লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা।
এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের মাংসের দাম বেড়েছে । গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা বেড়ে ৬০০ টাকায়। খাশির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৮০-৯০০ টাকায়।
এস মুন্নী