চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে দখলদার ইসরাইলি হামলায় দুই শিশু নিহত হয়েছে। তাদের বয়স ২ ও ৩ বছর। আহত হয়েছে আরও দুই নারী।
এছাড়া গাজায় ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ৭ জনের লাশ উদ্ধার করে হয়েছে। এ নিয়ে মোট লাশের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৫২০ ছাড়িয়ে গেছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) তুরস্ক ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলে এবং ভূখণ্ডের উত্তরে বেইত হানুনে দখলদার ইসরাইলি ড্রোন হামলায় দুই ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও দুই নারী।
এর মধ্যে বেইত হানুনে বোমা হামলায় ২ বছরের শিশু নিহত এবং এবং তার মা আহত হয়েছেন। এছাড়া পূর্বাঞ্চলের শুজাইয়া পাড়ায় দখলদার ইসরাইলি ড্রোনের হামলায় ৩ বছর বয়সী এক শিশু নিহত হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আনাদোলু জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার পূর্ব খান ইউনিসের আবাসন আল-কাবিরার সানাতি এলাকা এবং আল-ফারাহিন পাড়ায় দখলদার ইসরাইল ট্যাংকদ্বারা গোলাবর্ষণ করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পূর্ব আবাসন এলাকা লক্ষ্য ড্রোন হামলা চালিয়েছে, তবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পৃথক এক প্রতিবেদনে আনাদোলু জানায়, ফিলিস্তিনের উদ্ধারকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গাজার ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে আরও ৭ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ হাজার ৫২৪ জনে পৌঁছেছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজায় গেলো ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে প্রস্তাব দেওয়া সত্ত্বেও দখলদার ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিল।
এমএ//
