অর্থনীতি

ঈদ সামনে রেখে মাংসের দাম বাড়তি, অন্যান্য পণ্যে স্থিতিশীলতা

ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদ ঘনিয়ে আসায় বাজারে গরু, খাসি ও মুরগির মাংসের চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে এর প্রভাব পড়েছে মাংসের দামের ওপর। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, গরুর মাংস ও খাসির মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে, আর ব্রয়লার ও পাকিস্তানি মুরগির দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।   

শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর বাজারগুলোতে দেখা যায়,  ব্রয়লার মুরগি এখন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যেখানে এক সপ্তাহ আগেও দাম ছিল ২১০-২২০ টাকার মধ্যে। পাকিস্তানি মুরগির দামও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩০-৩৪০ টাকা, যা আগে ছিলো ৩০০-৩১০ টাকা

মুরগি ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদে প্রতিটি পরিবারই রোস্ট বা বিরিয়ানি তৈরির জন্য মুরগি কেনে। চাহিদা বেশি, কিন্তু সরবরাহ তুলনামূলক কম থাকায় দাম বেড়ে যাচ্ছে। 

এদিকে, গরুর মাংসের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে। কয়েকদিন আগেও যেখানে ৭৫০ টাকায় গরুর মাংস পাওয়া যেত, এখন তা ৮০০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা বলছে যোগানের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় ক্রেতাদের বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে। একইভাবে, খাসির মাংসেও দাম বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।

মাংসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা এই বেশ চাপে পড়েছেন। সামনে ঈদ হওয়ায় বাধ্য হয়ে ক্রেতাদের বেশি দামে মাংস কিনতে হচ্ছে।   

তবে মাংসের দাম বাড়লেও বাজারের অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখন স্বাভাবিক রয়েছে। চিনির দাম গেলো বছরের চেয়ে কম রয়েছে। গেলো বছর ঈদের সময়প্রতি কেজি চিনি ১৩৫-১৪০ টাকায় বীকড়ী হলেও এবছর তা  প্রতি কেজি ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে

এছাড়া সয়াবিন তেল সরকার নির্ধারিত ১৭৫ টাকা লিটারে পাওয়া যাচ্ছে, ভালো মানের সুগন্ধি চাল এখন ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে,  সেমাইয়ের দামও প্রায় আগের মতোই, প্যাকেটজাত সেমাইয়ের পাশাপাশি খোলা চিকন সেমাই ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

বাজারে পেঁয়াজ এখন ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে, আমদানি করা রসুন ২০০-২২০ টাকা কেজিতে, আর দেশি রসুন ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দেশি আদা ১২০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।   

তবে বাজারে প্রতি কেজি এলাচ ৪৫০০-৫০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াজিরা ৬৫০-৭৫০ টাকা, লবঙ্গ ১৪০০-১৬০০ টাকাদারুচিনি ৫০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

ঈদকে সামনে রেখে মাংসের দাম বাড়লেও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বেশিরভাগই আগের দামে পাওয়া যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে আছেন ক্রেতারা।

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ঈদ | বাজারদর | দ্রব্যমূল্য