অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সম্ভাব্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করতে যাচ্ছে। এই বাজেট ২ জুন (সোমবার) ঘোষণা করা হবে, যা সাধারণত জুন মাসের কোনো বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয়। তবে এবার সেই রেওয়াজের ব্যতিক্রম ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আর্থিক, মুদ্রা ও বিনিময় হার-সংক্রান্ত সমন্বয় কাউন্সিল এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, বাজেট ঘোষণার পরদিন অর্থ উপদেষ্টা বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলন করবেন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই বাজেট ঘোষণা করা হবে, যেটি জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হবে। এবারের বাজেট রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে ঘোষণা হবে, কারণ জাতীয় সংসদ নেই। এর ফলে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ টেলিভিশনের মাধ্যমে জাতির উদ্দেশে বাজেট উপস্থাপন করবেন। এটি ২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের মত হবে, যখন টেলিভিশনে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল।
চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আগামী বাজেটের আকার ৭ হাজার কোটি টাকা কমতে পারে। বাজেটের সিংহভাগ অর্থের জোগান দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যার জন্য আগামী অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, আগামী বাজেট ছোট করা হচ্ছে নানা কারণে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকারও কমানো হবে এবং নতুন বড় প্রকল্প শুরু করা হবে না। তবে পুরনো প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন চলমান থাকবে। বাজেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা বাজেটে থাকবে, এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য রাখা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ। এছাড়া বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে রাখা হবে।
এসি//
