যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের বাংলাদেশের করণীয় নির্ধারণ ও সম্ভাব্য সুযোগ-সুবিধা যাচাইয়ের লক্ষ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন এ তথ্য জানান।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে বিএসআরএফ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘এই প্রতিনিধি দলে থাকছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, অর্থ উপদেষ্টা এবং বাণিজ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সংস্থা ইউএসটিআরের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ট্যারিফ এবং নন-ট্যারিফ বিষয়গুলোতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, যুক্তরাষ্ট্র ৩৭ শতাংশ শুল্ক ৯০ দিনের জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছে। এই সময়ের মধ্যে কী ধরনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া হবে, সে বিষয়ে সরকার সচেতনভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বড় রপ্তানি বাজার। তারা আমাদের কাছ থেকে প্রচুর পণ্য নেয়, অথচ আমাদের আমদানি তুলনামূলকভাবে কম। ক্রেতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র একক বৃহত্তম দেশ। সেজন্য আমাদের কাছে বিষয়টি চিন্তার। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে শুধুমাত্র পণ্যের ভিত্তিতে তাদের বাণিজ্য ঘাটতি পর্যালোচনা করছে, সেবার ভিত্তিতে নয়। সে কারণে বাংলাদেশের জন্য কিছু নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।‘
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, যুক্তরাষ্ট্রে আলোচনা শেষে পরবর্তীতে তিনিও নিজে সেখানে যাবেন এবং মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরবেন।
উপদেষ্টা বশির আহমেদ বলেন, ‘ডব্লিউটিও এর ফ্রেমওর্য়াকে আমরা সারা দুনিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করি। সেখানে বাণিজ্যের যে বৈচিত্র্য আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে ২.২ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পণ্য অন্যান্য দেশের থেকে আমাদের দেশে আসে। এছাড়া আমকদের কিছু পণ্য আছে যা দুই দেশকেই সুবিধা দেয়। সেসব পণ্যের শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে আনতে পারি। একইসঙ্গে আমাদের উপযোগী করার জন্য বিভিন্ন রকমের অবকাঠামো গত চিন্তা করছি।‘
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের রপ্তানি পণ্যের বিপরীতে বছরে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আদায় করে, অথচ আমরা সেখান থেকে শূন্য শুল্কে পণ্য এনে আবার রপ্তানি করি। ফলে আমাদের সামনে কিছু কাঠামোগত বাধা রয়েছে, যেগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খুঁজছি।’
এমএ//