বিনোদন

ভারতের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়াচ্ছেন বিরাট-আনুষ্কা , কেন?

বিনোদন ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ থেকে শুরু করে বলিউডের রেড কার্পেট বিরাট-আনুষ্কা যেন আজ শুধুমাত্র ভারতের কাছে নয় , বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত তারকা দম্পতি।  তাদের দাম্পত্য জীবন , সন্তানদের বেড়ে ওঠা এবং নানা বিশেষ মুহূর্ত নিয়ে ভক্তদের মধ্যে এক অদৃশ্য আগ্রহ সবসময়ই ছিল।  তবে এই তারকা দম্পতি নিয়ে সম্প্রতি একটি বিষয় বেশ চর্চিত হচ্ছে , কেন ভারতের সাথে তাদের সম্পর্ক ক্রমশ দূরে ঠেলে দিচ্ছেন তারা? কেন নিজের দেশ থেকে বেরিয়ে বিদেশে নতুন জীবন শুরু করেছেন তারা?

দেশ ছাড়ার ব্যাপার নিয়ে বিরাট-আনুষ্কা প্রকাশ্যে এনেছেন তাদের এই সিদ্ধান্তের পেছনে লুকানো কিছু বাস্তব কারণ।  একদিকে যেমন তারা তাদের ব্যক্তিগত জীবনকে সুরক্ষিত রাখতে চাইছেন অন্যদিকে , নিজেদের সন্তানদের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বড় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।  

তাদের ভাষ্যমতে , একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে তা হলো সন্তানদের নিরাপত্তা।  সাইফ আলি খান ও কর্তিনা কাপূরের মতো বেশ কিছু তারকা সন্তানদের প্রতি মিডিয়ার অতিরিক্ত আগ্রহের কারণে ছবির শিকার থেকে তাদের দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  এর ফলে আলিয়া ভাট তার সদ্যজাত কন্যা রাহাকে পাপারাজ্জির নজর থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  বিরাট-আনুষ্কার ক্ষেত্রেও একই বিষয়টি দেখা গেছে । তাদের সন্তানদের জীবনে অতিরিক্ত কৌতূহল এবং মিডিয়ার অকারণ উপস্থিতি তাদের জন্য অস্বস্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে কিংবা শহরের রাস্তায় বিরাট এবং আনুষ্কা দুজনেই কখনো ফুচকা বা ভেলপুরি খেতে বেরোলে , রাস্তায় জনতার ভিড় জমে যায় এমনটাই তারা এক পডকাস্টে বলছেন।  এই অব্যক্ত চাপ থেকে মুক্তি পেতে তারা তাদের জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলো নিরাপদ ও স্বাভাবিকভাবে উপভোগ করতে চান।  তবে এই সুবিধাটি তারা বিদেশে বিশেষ করে লন্ডনে উপভোগ করছেন , যেখানে তাদের জীবনে সংবাদমাধ্যমের অতিরিক্ত আগ্রহ নেই। 

কিছুদিন আগে পহেলগাঁও এ বিরাট-অনুষ্কার উপস্থিতি নিয়ে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা তাদের মনে গভীর ছাপ রেখে গেছে।  এরপরে তারা সিদ্ধান্ত নেন , তাদের জীবনের বেশিরভাগ সময় বিদেশে কাটানো হবে , যেখানে তাদের ব্যক্তিগত জীবন ও সন্তানদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত থাকবে।  তাদের দাম্পত্য জীবনে অতিরিক্ত কৌতূহল নেই এবং সন্তানদের ছোটবেলা একেবারে স্বাভাবিক এবং সুরক্ষিতভাবে কাটানো সম্ভব তাই তারা এই সিদ্ধান্তে শান্তি খুঁজে পেয়েছেন।

তারা তাদের দ্বিতীয় সংসার লন্ডনে গড়ে তুলেছেন , যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে পরিবারকে সময় দিতে পারছেন।  তাদের সন্তানদের বেড়ে ওঠার জন্য লন্ডন এখন তাদের জন্য নিরাপদ ও সুবিধাজনক জায়গা হয়ে উঠেছে।  এই শহরে তারা স্বাধীনভাবে নিজেদের জীবন কাটাতে পারছেন , যেখানে মিডিয়ার অতিরিক্ত উপস্থিতি তাদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব ফেলছে না। পেশাগত কারণে অবশ্যই তাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আসতে হয় , তবে লন্ডন তাদের জীবনের কেন্দ্রে রয়েছে।

 

এসকে//