বলিউড সুপারস্টার আমির খানের কন্যা ইরা খান , যিনি একজন শক্তিশালী ও সফল নারী হিসেবে পরিচিত। তার এই ২৭ বছর বয়সেও বেকারত্বের যন্ত্রণা তাকে একেবারে কুরে কুরে খাচ্ছে। নিজের জীবনের এই কঠিন মুহূর্তটি তিনি শেয়ার করেছেন এবং এটি বেশ সরব হয়ে উঠেছে। তবে এর মাঝেও তিনি তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি নতুন সংস্থা শুরু করেছেন যার নাম ‘আগাৎসু’। তার বাবার সমর্থন , ভালোবাসা আর দৃঢ় মনোবল তাকে আগের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলেছে।
গেলো জানুয়ারিতে ইরা তার জীবনসঙ্গী নূপুর শিকরের সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন। তবে ব্যক্তিগত জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু করার পরেও ইরা মানসিকভাবে কিছুটা ভিন্ন একটি লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন , আমার বয়স ২৬-২৭। এতদিন আমার মা-বাবা আমার উপর অনেক টাকা ঢেলেছে। আমি এই পৃথিবীতে একজন বেকার মানুষ। আমি কিছুই করি না।
এই কথা শোনার পর আমির তার মেয়ের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন , ও বলছে পয়সা রোজগার করে না। কিন্তু তুমি মানুষদের জন্য কাজ করছ এটাই আমার কাছে অনেক। তুমি যদি মানুষের উপকারে আসো , তাহলে পয়সা রোজগার করার চেয়ে সেটাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আমির আরও বলেন , তুমি যদি ভালো কাজ করো , তাহলে আমি গর্বিত। পয়সা রোজগার করছ কিনা , সেটা আমার কাছে কখনোই বড় বিষয় নয়। সেটাই আমার কাছে সত্যিকার মূল্য।
‘আগাৎসু’ নামে একটি মানসিক স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন আমির কন্যা, যেখানে মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করা হচ্ছে। ইরা নিজেই জানিয়েছেন যে, তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে লড়াই তাকে এই উদ্যোগের দিকে নিয়ে এসেছে।
ইরা বলেন , মানসিক সুস্থতা এখনো আমাদের সমাজে বেশ একটি অবহেলিত বিষয়। আমি চাই , মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ুক এবং তারা নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আরও খোলামেলা আলোচনা করুক। তার এই উদ্যোগ ইতোমধ্যেই অনেক মানুষের জন্য একটি আশার আলো হয়ে উঠেছে।
ইরার বিয়ের পর বলিউডে এক নতুন ধরনের রিসেপশন আয়োজন হয় , যেখানে বলিউডের বিশেষ তারকা থেকে শুরু করে আম্বানি পরিবার , শাহরুখ খান , সলমন খান , মাধুরী দীক্ষিত এবং আরও অনেক নামীদামী ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। তবে ইরার বিয়েতে বিশেষ আকর্ষণ ছিল আমির খান'র পরিবারের একত্রিত হওয়া তার প্রাক্তন স্ত্রী রিনা দত্ত ও কিরণ রাও'র সঙ্গে। যারা একে অপরকে সম্মান দিয়ে বিয়ের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেন তারা, যা দেখে সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
গেলো জানুয়ারিতে ইরা ও নূপুরের রেজিস্ট্রির মাধ্যমে ছোট ও সাদামাটা অনুষ্ঠানে বিয়ে হয়েছিল, যেখানে বর নূপুর শিকর শর্টস ও স্যান্ডো পরেছিলেন। পরে উদয়পুরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তারা আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। সেখানে একসঙ্গে সব সদস্য এবং বন্ধু-বান্ধবী , এমনকি দুই প্রাক্তন স্ত্রীর উপস্থিতি যা আসলেই দেখার মতো দৃশ্য ছিল।
এসকে//