প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের এমন কেউ নেই, যারা বড় ধরনের লুটপাটে জড়িত ছিলেন না। গুমের ইতিহাসও এই দলটির হাত ধরেই শুরু হয়েছে।’
সোমবার (১২ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘মানুষ শেষ কবে ভোট দিয়েছে তা ভুলে গেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের মানুষের সব অধিকার হরণ করেছে তারা। অভ্যুত্থানপন্থীদের সঙ্গেই পরামর্শ করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
দেশের শেয়ারবাজার সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এক ডাকাতকে সরিয়ে আরেক ডাকাত যেন প্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শেয়ারবাজার যেন ডাকাতদের আড্ডাখানা না হয়, সেজন্য অর্থবহ সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’
এ সময় সাংবাদিকদের অধিকার নিয়েও কথা বলেন প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো ১৫ বছর ধরে পূর্বাচলের প্লট নিয়েই ব্যস্ত ছিল। অথচ কপিরাইট আইন, সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ও অধিকার নিয়েই তাদের কথা বলা উচিত। ৩০ হাজার টাকার নিচে বেতন দেওয়া উচিৎ নয়। যারা এই বেতন দিতে পারবেন না, তারা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করুন।’
শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘সংবিধানে বাকস্বাধীনতা থাকলেও বারবার তা ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ফ্রিডম অব স্পিচকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চায়।’
এসি//