রাজধানীর ভাটারা থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্র করে দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা।
নুসরাতের গ্রেপ্তারের ঘটনাকে ‘সরকারের জন্য বিব্রতকর’ বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তবে এবার তার এই মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (১৯ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘সংস্কৃতি উপদেষ্টা কী বলেছেন, তা আমি জানি না। তবে তিনি যা বলেছেন, সেটা তার ব্যক্তিগত মত। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রত্যেকের আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করব যেন শুধুমাত্র প্রকৃত দুষ্কৃতকারীরাই আইনের আওতায় আসে এবং দণ্ডিত হয়। কোনো নিরীহ ব্যক্তি যেন শাস্তির শিকার না হন, সে বিষয়েও আমরা সচেষ্ট থাকব। তবে নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত এখনো শেষ হয়নি।’
নুসরাত ফারিয়াকে বিমানবন্দরে আটকের বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তার নামে মামলা থাকলে আপনি কি করবেন? বিমানবন্দরে ছেড়ে দিলে বলতেন, ছেড়ে দিয়েছেন। বিদেশ যাত্রার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে একটি পলিসি আছে। এই পলিসির আওতায় যারা পড়ে, তাদের আটকানো হয়।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভাটারা থানার এনামুল হক হত্যা চেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ২২মে ফের তার জামিন শুনানির জন্যে দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে, থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় গত রোববার (১৮ মে) ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাকে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নুসরাত ফারিয়াকে রাজধানীর ভাটারা থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত এক হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়ার নাম রয়েছে। রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা ওই মামলায় তাকে আন্দোলনবিরোধী অবস্থান গ্রহণ এবং আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এসি//